পাতা:আমার চিন্তা - অম্বিকাচরণ গুপ্ত.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শূন্য-পিঞ্জর । やQ প্রবেশ করে, প্রবেশ করিলেই পোষ মানে আর স্বেচ্ছায় বাহির হয় না। পিঞ্জরের মায়ায় ভুলিয়া গিয়া থাকিয়া যায় । পিঞ্জরে প্রবেশ করিলে পিঞ্জরের প্রতি ইহার এত মমতা, এত যত্ন জন্মে যে, ছাড়িয়া বাহির হইতে কষ্ট ৰোধ করে। এ তাহার অতি সাধের, অতি যত্বের, অতি সৌখিন খাচা । এ খাচ একটু খারাপ হইলেই পাখী মর্ম্মান্তিক যাতন বোধ করে, যতক্ষণ না খাচা সারিয়া লয় ততক্ষণ সুখী হইতে পারে না । পিঞ্জরের মুখে ভুলিয়া পিঞ্জরের গুণে মুগ্ধ হইয়াই পার্থী পিঞ্জর ছাড়িতে চায় না ; তথাপি জাতীয় শিকলীকাটাদোষে একবার পিঞ্জর হইতে বাহির হইলে আর কখন ফিরে না। বনের পার্থী শিকল কাটিয়া একবার উড়িলে, প্রতিপালক যত্ন করিয়া ডাকিলে, মিষ্ট খাবার দেখাইলে পুনরায় ফিরিয়া আসিয়া দাড়ে বসিতে পারে। কিন্তু এ পার্থী একবার পলাইলে আর সে আশা থাকে না, পার্থীর যে পিঞ্জরের প্রতি এত মমতা, সে পাখীর গুণে নয়, পিঞ্জরের গুণে । পিপ্লরের মোহিনী শক্তিতে পার্থী পিঞ্জর ছাড়িতে পারে না। তবে যখন পিঞ্জীর একবারে ভাঙ্গিয়া অকর্ম্মণ্য হইয়া যায় সারিবার উপায় থাকে না, তখন পার্থী অগত্য পলায়ন করে। পার্থী চেষ্টা করিয়া কথন উড়িয়া পলায় না, তাহা হইলে পিপ্পরের নয়টা দ্বার খোলা, মনে করিলে যখন ইচ্ছ। অনায়াসেই পলাইতে পারে। অতি কষ্ট, অতি মনোদুঃখ না পাইলে, পাখী এরূপ আত্মবঞ্চন। द*८ब्र नl । এই যে পিপ্লর, এটা ভগ্ন পিঞ্জর ! ইহাতে পাপী নাই—যুখন পার্থী ছিল, তখন ইহার কত বাহার ! আজি সে ।