পাতা:আমার জীবন.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাসঙ্গিক রাসমুন্দরী দেবীর জন্ম ১৮০১ খৃষ্টাব্দে গাবনা জেলার পোতাজিয়া গ্রামে । পিতা পদ্মলোচন রায় কন্যার বারে বছর বয়সে বিয়ে দিয়েছিলেন ফরিদপুর জেলার জমিদার সীতানাথ সরকারের (শিকদার) সঙ্গে। তার স্বামী নিরক্ষর বধুকে লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন। চোঁদ বছর বয়সে তিনি লুকিয়ে পুথি পড়া শিখতে আরম্ভ করেন এবং বারোটি সন্তানের জননী হওয়ার পর পুথি পড়া শেখ সম্পূর্ণ করেন। যে যুগে প্রবাদ ছিল মেয়ের লেখাপড়া শিখলে বিধবা হয়, সে যুগে রাসমুন্দরীর জন্যে জুটেছিল শ্বশুরবাড়ীর আদর। তার তিনজন ননদই বলেছিলেন—‘আহা! তুমি লেখাপড়া জান, ইহা আমরা এত দিবস কিছুই জানি না।’ লেখাপড়া শেখার পর তিনি ধীরে ধীরে তার ‘আত্মজীবনী রচনাকরেন। বলা প্রয়োজন, তার এই 'আমার জীবন’ বাংলা সাহিত্যে প্রথম আত্মরচিত এবং সে যুগের মেয়েদের জীবনের একটি অন্তরঙ্গ দলিল। আনন্দবাজার পত্রিকার অশোককুমার সরকারের মতামহী ও যুগান্তরের শিশিরকুমার ঘোষের ভাগিনেয়ী সরলাবালা সরকার ছিলেন রাসমুন্দরীর পৌত্রী। বইটির প্রথম সংস্করণে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দীনেশচন্দ্র সেন ছুটি পরিচায়িকা লিখে দেন। বইটিতে রাসমুন্দরীর স্বরচিত কবিতা ও সংগীতও সন্নিবিষ্ট হয়েছিল। ১৯•• খৃষ্টাকে রাসম্বন্দরীর মৃত্যু হয়। বারিদবরণ ঘোষ