পাতা:আমার জীবন.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন কত মনোহর রূপে পৃথিবী উজ্জ্বল । তাহে পবনের গতি অতি সুশীতল ৷ স্বরধুনি-প্রবাহিণী নদী শত শত । সৌরভ-বাহিনী কত বর্ণিব বা কত ॥ রাসমুন্দরীর জন্ম ধন্ত করি গণি । শ্রবণে পরশে তব নামামৃত ধ্বনি ॥ এক দিবস আমার খুড়া বাহির বাট হইতে আমাকে বাটীর মধ্যে আনিতেছেন, ঐ সময়ে একজন গোবৈদ্য একখান। ছালে ঘাড়ে করিয়া আমার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। আমি তাহাকে দেখিয়া ছেলেধরা ভাবিয়া ভয়ে এককালে মৃতপ্রায় হইলাম। তখন আমার মনে এত ভয় হইয়াছিল যে, আমি দুই হাত দিয়া চক্ষু ঢাকিয় থর ধর করিয়া কঁাপিতে লাগিলাম । সেই সময়ে সে স্থানে যত লোক ছিল, তাহারা আমাকে ভয় নাই, ভয় নাই বলিয়া হাসিয়া মহাগোল করিতে লাগিল। আমার খুড়া আমাকে কোলে লইয়া বাটীর মধ্যে গিয়া বলিলেন, আজ ভাল ছেলে-ধরার হাতে পড়িয়াছিলাম ; এই বলিয়। তিনি এবং সকলেই হাসিতে লাগিলেন । তখন আমার মায়ের কাছে গিয়া আমি কঁাদিতে লাগিলাম । আমার মা আমাকে কোলে লইয়া সান্থনা করিয়া বলিলেন, তোমার এত ভয় কেন ? ভয় নাই, কিসের ভয়, ছেলে-ধরা নাই, ও সকল মিছা কথা, আমাদের দয়ামাধব আছেন, ভয় কি ? তোমার যখন ভয় হইবে, তখন তুমি সেই দয়ামাধবকে ডাকিও, দয়ামাধবকে ডাকিলে তোমার আর ভয় থাকিবে না । মার ঐ কথাতে আমার মনে অনেক সাহস হইল। আমি মনে মনে বলিতে লাগিলাম, মা বলিয়াছেন ছেলে-ধরা নাই, আর আমাদের দয়ামাধবও আছেন, এই বলিয়া কিছু স্থির হইলাম । বিশেষ আমি একাও কোনখানে যাইতাম না। আমার সঙ্গে সঙ্গে লোক থাকিত। বাস্তৰিক আমার মত ভয় কোন ছেলের দেখা যায় না। এমন কি, বুড় মানুষ দেখিলেই আমার দাত লাগিত, এজঙ্ক আমাকে এক রাখা হইত না । আমার এক পিলী ছিলেন ;