পাতা:আমার জীবন.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবন סצ ককণার কল্পতরু কৃপাসিন্ধু বিশ্বগুক, কর দৃষ্টি করুণা নয়নে । অকুল তরঙ্গে পাড়ি, ভাসিছে রাসমুন্দরী তোমার চরণ-তরি বিনে । আমার মা বলিলেন, এই য, আমাদের দালানে ঠাকুর আছেন, নাম দয়াণাধব, তিনি ঠাকুর। কল্য তোমাদের যে লোক নদীর কূল হইতে কোলে করিয়া বাটীতে আনিয়াছিল, সে মানুষ। তখন আমি বলিলাম, মা তুমি বলিয়াছিলে, ভয হইলে দযামাধবকে ডাকিও, আমাদের দয়ামাধব আছেন। তবে যে কালি যখন ভয় হইল, আমরা ‘দয়ামাধব, দয়ামাধব বলিয়। কত ডাকিলাম, আইলেন না কেন ? ম৷ বলিলেন, ভয় পাইযা কাদিতে কঁাদিতে ‘দয়ামাধব, দয়ামাধব’ বলিয়৷ ডাকিয়াছিলে। দয়ামাধব তোমাদের কান্না শুনিয়া ঐ মানুষ পাঠাইয়া দিয়া তোমাদিগকে বাটতে আনিয়াছেন । আমি তখন মাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, মা ! দয়ামাধব দালানে থাকিয়া কেমন করিয়া আমাদের কান্না শুনিলেন ? মা বলিলেন, তিনি পরমেশ্বর, তিনি সর্ব স্থানেই আছেন, এজন্য শুনিতে পান । তিনি সকলের কথাই শুনেন । সেই পরমেশ্বর আমাদিগের সকলকে স্থষ্টি করিয়াছেন । র্তাহাকে যে যেখানে থাকিয়া ডাকে, তাহাই তিনি শুনেন। বড় করিয়া ডাকিলেও তিনি শুনেন, ছোট করিয়৷ ডাকিলেও শুনেন, মনে মনে ডাকিলেও শুনিয়া থাকেন ; এজন্য তিনি মামুয নহেন, পরমেশ্বর । তখন আমি বলিলাম, মা ! সকল লোক যে পরমেশ্বর পরমেশ্বর বলে, সেই পরমেশ্বর কি আমাদের ? মা বলিলেন, ই, ঐ এক পরমেশ্বর সকলেরি, সকল লোকেই তাহাকে ডাকে, তিনি আদি কর্তা । এই পৃথিবীতে যত বস্তু আছে, তিনি সকল স্মৃষ্টি করিয়াছেন, তিনি সকলকেই ভালবাসেন, তিনি সকলেরই পরমেশ্বর । বাস্তবিক পরমেশ্বর যে কি বস্তু, তাহা আমি এ পর্যন্ত বুঝিতে পারি নাই। সকল লোক পরমেশ্বর বলে, তাহাই শুনিয়া থাকি—এই মাত্র জানি । মা বলিলেন, তিনি ঠাকুর, এজন্য সকলের মনের ভাব