পাতা:আমার জীবন.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b* আমার জীবন দৌড়াদৌড়ি করিয়া বেড়াইতে লাগিল ; আমি ইহার কিছুই জানি না। আমি যদি জানিতাম তাহা হইলে বলিতাম, ও মাটির সাপ ; এত লোক যে নিরর্থক পরিশ্রম করিতেছে, তাহ আমি জানি না । ঐ মাটির সাপ দেখিয়া সকলে ভারি ভয় পাইয়াছে। বাস্তবিক সে সাপ বড় মন্দ হয় নাই দেখিতে অতি ভয়ঙ্কর হইয়াছে। ঐ সাপ যেন ফণা তুলিয়। গজিতেছে । দেখিয়া ভয়ে কেহ নিকটে যাইতে সাহস করিতেছে না । একজন আড়ার উপর থাকিয়া সাপকে যেমন দণ্ডাঘাত করিবে, অমনি সেই মাটির সাপ ভাঙ্গিয়া গেল । আর সকল লোক হাসিয়া গোল করিতে লাগিল । আর আমি শুনিলাম, ঐ মাটির সাপ লইয়া সকলে গোল করিতেছে । এজন্য আমি ভারি লজ্জিত হইলাম । সেই অবধি আমি শার কিছু বানাইতাম না ! কিন্তু মনের মধ্যে বোধ হইত, কেবল মিছা আমোদে কালহরণ হইতেছে । ইহাতে কিছুই ফল নাই, সময় মিথ্যা নষ্ট হইতেছে । এত দিবস আমার এই অবস্থায় গত হইল। পরে অল্প দিবস মধ্যেই আমার শাশুড়ী ঠাকুরাণী সান্নিপতিকের পীড়ায় দৃষ্টিহীন হইলেন, আর কোন কাজ করিতে পারেন না । তখন র্তাহার নিজের প্রয়োজনীয় কাজ পর্যন্ত আমাকে করিতে হইত। অধিকন্তু ঐ সংসারের সমুদয় কাজের ভারও আমার উপর পড়িল । তখন আমার অতিশয় চিন্ত উপস্থিত হইল, আমি কি করিব ভাবিতে লাগিলাম, এখানে আসা পর্যন্ত আমাকে কোন কাজ করিতে দেন নাই । বিশেষতঃ ঐ সংসারটি বড় কম নহে, দস্তুর মতই আছে । বাটতে বিগ্রহ স্থাপিত আছেন, তাহার সেবাতে অল্পব্যঞ্জন ভোগ হয় । বাটতে অতিথি, পথিক সতত আসিয়া থাকে, তাহাদিগকে বাটীর মধ্য হইতে সিধাপত্র দেওয়া হয় । এদিকে রান্নাও বড় কম নহে । আমার দেবর ভাণ্ডর কেহ ছিল না বটে, কিন্তু চাকর চাকরাণী প্রায় পচিশ ছাবিবশ জন বাটীর মধ্যে ভাত খাইত, তাহাদিগকে তুবেলাই পাক করিয়া দিতে হইত। বিশেষতঃ ঠাকুরাণী চক্ষুহীন হইয়াছেন, র্তাহার সেবাও সর্বোপরি । অধিকন্তু ঘরের কাজের জন্য একটি লোকমাত্র