আমার বাল্যকথা め> সৌভাগ্যবশতঃ য়ুবোপে ভারতের কয়েকজন অসাধারণ প্রতিভাশালী ও সুযোগ্য সন্তানের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল। অনেকে আমাকে বলেন যে, এই সকল মহৎচবিত্র ব্যক্তিগণেব সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় হওয়ায়, ভারতবাসীর চরিত্র সম্বন্ধে আমার একটা ভুল ধারণা জুন্মেছে ; কারণ সর্ব্ববিষয়ের উৎকৃষ্টত দেখলাম কিন্তু নিকৃষ্টত কিছু জানতে পারলাম না। আমার মনে হয়--তাতে ক্ষতি কি ? ভারতবাসীর চরিত্রের চবমোৎকৰ্ষ যে কতদূর হইতে পারে তাঙ্গ তো দেখলাম। অবশু আমি এমন আশা করি না যে, একটা সমগ্র জাতি কেবল রামমোহন রায়, দ্বারকানাথ ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন, মালাবার বা রমাবাইয়ের ছাচে ঢালা হবে, কিন্তু তা বলে, যে দেশের মধ্যে থেকে এই সব মহচচরিত্র লোক জন্মগ্রহণ করেছেন, সে দেশের জাতীয় চরিত্র উপেক্ষ করবাব নয় । 0S BBB BB BBBBBB BBB BBBB BBB BBB BBS SS BBBBB BB হওয়ার বিভীষিকা তখন খুব প্রবল ছিল ; সুতরাং ১৮৪৪ সালে যখন একদিন সহরময় রাষ্ট্র হইল যে ভারতের একজন নিষ্ঠাপন হিন্দু পাবিসে এসেছেন এবং সর্ব্বোৎকৃষ্ট হোটেলের সর্ব্বোৎকৃষ্ট গৃহে বাস করছেন, তখন প্যারিসে হুলস্থল পড়ে গেল এবং BBBB BB BB BBB BBBB BB BB BBBB BB BBBS BB BBB কলেজ-ডি-ফ্রান্সে প্রোফেসার বারমুফের কাছে সংস্কৃত শিক্ষা করতাম, এবং যখন দেখলাম যে নবাগত ভদ্রলোকটি আমারই এই প্রোফেসরেব কাছে পরিচয়-পত্র নিয়ে এসেছেন, তখন র্তার সঙ্গে আলাপ হ’তে বড় বেশ বিলম্ব হ’ল না। প্রোফেসার বারমুফ একদিন তামাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং তীবপর থেকে তার সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠত হ’ল । তিনি হচ্ছেন তোমার পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর। দ্বারকানাথ সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত না হ’লেও সংস্কৃত সাহিত্য-জ্ঞান তার বেশ ছিল। প্রথম যখন তাকে আমি দেখি তখন তিনি ইনষ্টিটু্যট-ডি-ফ্রান্সে প্রোফেসার বারমুফের সঙ্গে কথা কইছিলেন। প্রোফেসাব তাকে নিজেব ভাগবতপুরাণের উৎকৃষ্ট ফরাসী তর্জমার বইখানি উপহার দিলেন। এক দিকে সংস্কৃত শ্লোক গুলি, অপর দিকে ফরাসী তর্জমাগুলি ছাপান ছিলু দ্বারকনাথ তার সুগঠিত শু্যামল অঙ্গুলীগুলি ফরাসী তর্জমার পাতার উপর রেখে নিশ্বাস ফেলে বল্লেন, ‘আহ ! এইগুলি যদি আমি পড়তে পারতাম !’ তার স্বদেশের প্রাচীন ভাষা জানবার জন্ত তার তেমন আগ্রহ ছিল না, যত ফরাসী ভাষার জন্ত ছিল । 彰 যখন তিনি শুনলেন যে আমি সংস্কৃত ভাষা শিখবার জন্ত কিরূপ " আগ্রহন্বিত, তখন আমার প্রতি তার একটা তাকর্ষণ হ’ল । তিনি • প্রায়ই আমাকে নিমন্ত্রণ করতেন
