পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস הל * ও-দেশের কথা কতকটা আমাদের কথকতার অনুরূপ । কিন্তু এ দুয়ে একটু প্রভেদও আছে । পুরাণাদি গ্রন্থ হতে হৃদয়গ্রাঙ্গী উপন্যাস বিবৃত করে বলা বাঙ্গল দেশের কথকতা ; আর এদেশের কথা আছোপান্ত একটি ভাবস্তুত্রে গাথা, সেইটি বিস্তার করে শ্রোতৃবর্গের মনে মুদ্রিত করা কথার উদ্দেশু। একটি নীতিস্বত্র অবলম্বন করে গান ও উপন্যাসচ্ছলে তার ব্যাখ্যা করার নামই কথা । এই প্রসঙ্গে যে সকল কবিতা ব্যবহৃত হয় তা তুকারাম প্রভৃতি প্রাচীন কবিদের কাব্যখনি হইতে সংগৃহীত। আমি একবার এক জায়গায় কথা শুনেছিলাম, তাতে বিনয়ের মাহাত্ম্য, অবিনয়ের অনর্থ সুন্দর রূপে দেখানে হয়েছিল ; যে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছিল তা তুকারামের এই অভঙ্গ – লহীন পণ দে গা দেবী মুগী সখিরেচা রবা । ঐরাবতী রত্ন থোর ত্যাশা অঙ্কুশাচ মার ॥ জ্যাচে অঙ্গী মোঠেপণ তয় যাতনা কঠিন ৷ তুক ক্ষণে জন হবাবে লহানাহুনি লহান ॥ দেহু দেব নম্পন, মুগী * পায় মিষ্ট কণা। ঐরাবত হস্তীরাজে অস্কুশের মার বাজে। যার দেহে অহঙ্কার কঠিন যাতনা তার । তুক কহে জান সবে ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র হবে। এইরূপ কথা প্রসঙ্গে মাঝে মাঝে উপন্যাস ও গান থাকে, ধূয়ায় শ্রোতৃবর্গ কথকের সঙ্গে সমস্বরে যোগ দেয়। অতঃপর কথকঠাকুরের বন্দনাদির পর সভাভঙ্গ হয় মারাঠা দেশে কথা ও কীর্ত্তন ধর্ম্ম-প্রচারের সঙ্গীণ অস্ত্র। কীর্ত্তন-সভায় আমোদ এবং

  • পিপড়া ।