পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० br আমার বোম্বাই প্রবাস অনুসরণ করিলেন। সিন্দে, হোলকার, গাইকওয়াড়, ভেণসলে ইহার| সকলে স্ব স্ব প্রধান হইয় ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে স্বতন্ত্র রাজ্য স্থাপন করিলেন এবং বংশানুক্রমে পুত্র পৌত্রাদির রাজ্যভোগের ব্যবস্থা করিয়া গেলেন। প্রণালীবদ্ধ শাসনতন্ত্রের পরিবর্তে ব্যক্তিগত রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইলে যাহা হইয়া থাকে তাহাই ঘটিল। ভাল মন্দ রাজার উপর প্রজার সুখ দুঃখ, রাজ্যের শ্রীসম্পদ সকলি নির্ভর। পেশওয়ার বংশধর রাজগণের মধ্যে যাহারা প্রতিভাশালী যোগ্যপুরুষ র্তাহীদের হস্তে যতদিন রাজ্যভার ছিল ততদিন মহারাষ্ট্র সাম্রাজ্যের গৌরব ও সৌভাগ্য, পরে পেশওয়া বংশের অবনতির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যেরও দুর্গতি হইল। কালক্রমে মারাঠী সাম্রাজ্যের একতা নষ্ট হইল, রাজ্যের শাখা প্রশাখা বিস্তৃত হইয়া উহ। ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল । তৃতীয়। যাহাতে বড় বড় পদ বংশানুগামী হইয়া বিকার প্রাপ্ত না হয় সেই দিকে লক্ষ্য। বড় বড় পদ বংশগত করা শিবাজীর মনঃপূত ছিল না—স্বাভাবিক গুণ এবং কর্ম্মযোগ্যতা অনুসারে কর্ম্মচারী নিযুক্ত করা এই তার রাজনীতি। উচ্চপদ বংশগামী হইবার দরুণ রাজ্যের যে দুর্দশ ঘটিল, শিবাজীর পরবর্তীকালের ইতিহাসে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। যোগ্যতা অনুসারে কার্য্যভার অপর্ণ ইহাই যথার্থ রাজধর্ম্ম । চতুর্থ। বেতনভুকু কর্ম্মচারী নিযুক্ত করা রাজকীয় কর্ম্মচারীদের জীবিকানির্ব্বাহের জন্ত র্তাহদের হাতে জায়গীর জমিদারী সপিয়া দেওয়া; ইহা শিবাজীর মতবিরুদ্ধ ছিল । তাহার অধীনস্থ সৈন্তাধ্যক্ষের পারিতোষিক স্বরূপ জায়গীর টনাম দিতে তিনি নিতান্ত অনিচ্ছুক ছিলেন । শিবাজীর বিধানে পেশওয়া সেনাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া সিপাই কারকুন পর্য্যন্ত নিম্নশ্রেণীর লোকের রাজকোষ কিংবা ধান্তভাণ্ডার হইতে বেতন পাইত। নির্দিষ্ট বেতন নিয়মিত সময়ে দেওয়া হইত। প্রভূত ঐশ্বর্য্যশালী জায়গীরদার জমিদার স্বষ্টি করা রাজ্যের হিতকর নহে, শিবাজী তাহ বিলক্ষণ বুঝিতেন। আমাদের দেশে কেন্দ্রবর্জনী শক্তি কেন্দ্রমুখী শক্তিকে সহজেই ছাড়াইয় উঠে—শিবাজী এই গতির বিরুদ্ধে যথাসাধ্য কার্য্য করিতেন । এই কারণে জায়গীরদারী-প্রথার তিনি পক্ষপাতী ছিলেন না। এমন কি, জমিদারদের দুর্ব্ব নির্ম্মণেরও নিষেধ ছিল। অন্যান্ত রায়তের ষ্ঠায় অরক্ষিত গছে বাস করিয়াই সস্তুষ্ট থাক। ভিন্ন উহাদের গত্যন্তর ছিল না। শিবাজী যে জমিদারী-প্রথার বিরোধী ছিলেন তাহর প্রমাণ এই যে, তাহার সময় যে সকল বড় বড় লোক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন গুtহার কেহই উত্তরাধিকারীদের জন্ত বৃহদায়তন ভূমি সম্পত্তি রাখিয়া যাইতে পারেন নাই। ভূসম্পত্তিশালী বৃহৎ পরিবার পত্তন শিবাজীর পরবর্তীকালের প্রথা। শিবাজী যাহ।