পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

求>br আমার বোম্বাই প্রবাস পুনঃস্থাপনের আশায় জলাঞ্জলি দিতে হইল। ইহার পর নানা সাহেব আর অধিক দিন জীবিত থাকেন নাই। এই মর্ম্মান্তিক আঘাতে র্তাহার বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পাইল । তিনি আস্তে আস্তে পুণায় ফিরির শয্যাশায়ী হইয়া পড়িলেন এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পার্ব্বতী-মন্দিরে দেহত্যাগ করিলেন । - চতুর্থ পেশওয়া বড় মাধবরাও ১৭৬১–৭২ নানার জ্যেষ্ঠ পুত্র পাণিপতের যুদ্ধে মারা পড়েন ; তাছার দ্বিতীয় পুত্র মাধবরাও পেশওয়ার পদে অধিরূঢ় হইলেন। তখন তাহার বয়ঃক্রম সতর বৎসর। র্তাহার পিতৃব্য রঘোৰা পেশওয়াকে হাতে রাখিয়া স্বয়ং কর্তী হইবার প্রয়াসী ছিলেন কিন্তু তাহাতে কৃতকার্য্য হইতে পারেন নাই। মাধবরাও স্বহস্তে রাজ্যভার গ্রহণপূর্বক অসামান্ত চাতুর্য্যের সহিত রাজকার্য্য নির্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। মারাঠীদের দিন দিন ঐসমৃদ্ধি দর্শনে ইংরাজের সশঙ্কিত কিন্তু এই সময়ে তাহার হাইদর আলির উপদ্রব নিবারণে সমুৎসুক। হাইদর দমনে মারাঠীদের সহিত সদ্ভাববন্ধন প্রয়োজন সুতরাং তাহদের মনোভাব যাহাই হউক সদ্ভাবব্যঞ্জক দৌত্য পাঠাইয়া পেশওয়াকে কোন মতে থামাইয়া রাখিলেন । যাহাতে হাইদরের বলপুষ্টি নিবারিত হয় সেই তাহদের প্রথম চেষ্টা । ইংরাজ দৌত্যের পাঁচ বৎসর পরে মাধবরাও লোকাস্তর গমন করেন। তিনি সন্তান সন্ততি রাখিয়ু যান নাই । তাহার স্ত্রী রমাবাই অত্যন্ত পতিব্রত ছিলেন, মৃতপতির অমুমূত হইয়। চিতামলে দেহত্যাগ করেন। মাধবরাও পেশওয়া ছায়পরায়ণ শাসনকর্তা বলিয়া প্রখ্যাত ; বলবানের বিরুদ্ধে দুর্ব্বলের, ধনীর বিরুদ্ধে দরিদ্রের সহায় ছিলেন। এই স্থায়ী সাহসী প্রজবল্লভ দৃঢ়মতি নৃপতি বিয়োগে রাজ্যের যত হানি হয়, পাণিপতের যুদ্ধেও তেমন হইয়াছিল কিনা সন্দেহ। নারায়ণরাও হত্য পঞ্চম পেশওয়া নারায়ণরাও, মাধবরাওয়ের কনিষ্ঠ ভ্রাতা,-অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন । রাখোবা কাকা তাহার অভিভাবক। মাধবরাও মৃত্যুকালে অনেক বলিয়া কহিয়া ভাইটিকে রাখোবার হস্তে সঁপিয়া যান। কতককাল খুড়া ভাইপোর মধ্যে মৌখিক সদ্ভাব বজায় ছিল কিন্তু নারায়ণরাওয়ের মাতা গোপিকাবাই ও রাখোবার পত্নী আনন্দীবাই এই দুজনে ধনিবনাও ছিল না। মন্ত্রীবর্গের সঙ্গেও রাখোবার মনান্তর ; এই সকল কারণে তিনি প্রাসাদে বন্দীকুত হইয় রছিলেন। তদবধি তিনি