পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રરે૦ আমার বোম্বাই প্রবাস “ছাড়ি দিয়া গেলা গৌরবপদ, দূরে ফেলি দিলা সব সম্পদ, গ্রামের কুটীরে, চলি গেল ধীরে দীন দরিদ্র বিপ্র ।” * ষষ্ঠ পেশওয়া রঘুনাথরাও (রাঘোব ) রঘুনাথরাও পেশওয়াপদে আরূঢ় হইলেন কিন্তু বিস্তুর দিন টিকিতে পারেন নাই। তিনিও যেমন যুদ্ধ যাত্রার পুণার বাহির হইলেন, তাহার বিপক্ষদলও মাথা তুলিল । মন্ত্রীপ্রধান খ্যাতনামা নানা ফর্ণবীস সে দলের নেতা। রাখোবার সহচর অনুচরগণ একে একে তাহার পক্ষ পরিত্যাগ করিল। রাঘোৰা বেগতিক দেখিয়া সিন্দে, হোলকার ও ইংরাজদের শরণভিক্ষায় কৃতসঙ্কল্প হইলেন। পেশওয়া বংশের অবনতি এই সময় হইতে পেশওয়া বংশের অবনতি। প্রথমে যখন বাজিরাও রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেন, তখন সেনাপতি রাঘোজী ভেঁাসলা বস্থাড় প্রান্তের জায়গীরদার ছিলেন। তিনিও পেশওয়ার দৃষ্টাস্তে স্বাধীন রাজ্য স্থাপনে প্রবৃত্ত হইলেন। পেশওয়ার অধীনস্থ অপরাপর কর্ম্মচারীরাও প্রভুর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে তৎপর হইল। ক্রমে মহারাষ্ট্র রাজ্যে পঞ্চ শাখা বিস্তৃত হইল। পঞ্চ শাখা পেশওয়া তাহার মধ্যস্থিত, তাহার রাজধানী পুণ । ভোসলার রাজধানী নাগপুর। সিন্দে গোওয়ালিয়রের আধিপত্য পাইলেন। হোলকর ইন্দোরে, বরদায় গাইকওয়াড় স্ব স্ব আধিপত্য স্থাপন করিলেন। পেশওয়া চিত্তপাবন ব্রাহ্মণ, অন্যান্ত সর্দারগণ শূদ্রজাতীয় মারাঠা । মালাররাও হোলকর হীনবর্ণ সৈনিক ছিলেন ; রাণোজী সিন্দে পেশওয়ার পাদুকাধারী ; পিলোজী গাইকওয়াড় গোরক্ষক রাখালরাজ । ইহারা সকলেই দীনহীন সামান্ত শ্রমজীবির জীবিকা হইতে স্বভূজবলে রাজসিংহাসন উপার্জন করেন, নীচকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া রাজবংশ পত্তন করিয়া যান। পেশওয়া প্রথমত এই সকল বীরদিগকে দেশবিজয়ে নিযুক্ত করেন, তাহদের উপর সৈন্ত যোগাইবার ভার। প্তাহার দূরে দূরে থাকিয়৷ কার্য্য করিতেছেন, পেশওয়া তাহার উপর কর্তৃত্ব খাটাইবার х-я * কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । *