পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তামার বোম্বা ঠ প্রবাস ミミ、○ হাইদর আলি এই সময়ে হাইদর আলির কর্ণাটক আক্রমণ সংবাদ বম্বে পৌছে, হাইদর দমনে ইংরাজদের সমুদয় বল প্রয়োগ করা চাই, মারাঠীদের সঙ্গে বিবাদভঞ্জন তখন প্রয়োজন । সেনাপতির প্রতি মারাঠীদের সহিত সন্ধিবন্ধনের অনুমতি হইল। মনোমত কার্য্যোদ্ধার করিতে হইলে পেশওয়াকে ভয় দেপান অবিখ্যক এই বিবেচনায় গড়ার্ড সৈন্যসামন্ত লইয়। বরঘাটের অভিমুখে যাত্রা করিলেন। আপনি ঘাটের নীচে অবস্থিতি করিয়৷ একদল সেনা উপরে খণ্ডালায় প্রেরণ করিলেন । মারাঠীরা তাহার দুর্ব্বলতা বুঝিয়া বোম্বাই ও গডার্ড সৈন্তের মাঝখানে ঝু কিয়া পড়িল । পলয়ন শ্রেয় বিবেচনায় গডার্ড ফিরিয়া যাইতে কৃতনিশ্চয় হইলেন। বরং অল্প সৈন্ত লইয়া সম্মুখ যুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কিন্তু মারাঠীদের কাছে পিছন ফিরিলে আর রক্ষা নাই । গডার্ড তাহাই ঠেকিয়া শিথিলেন । এই প্রত্যাবর্তনে ব্রিটিষ সৈন্তের সমূহ ক্ষতি। দেশী ইউরোপীয় সর্ব্বশুদ্ধ ৪৬১ সেনা হত কামান ও অন্তান্ত জিনিসপত্র শত্রহস্তে পতিত হইল। সালবাই সন্ধি এই দুই হারের পর সালবাই সন্ধি । এই সন্ধিমার্গে ইংরাজ মারাঠীদের মধ্যে দেশের আদান প্রদান হইল। ইংরাজের রঘোবার পক্ষ পরিত্যাগ করিলেন—তিনি অতঃপর পেন্সনভোগী হইয়া গোদাবরীতীরে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন। অন্ত ইউরোপীয় জাতির সহিত মিত্রতাবন্ধন করিবেন না, পেশওয়া এইরূপ বচন দিলেন । এই সন্ধি করিমু ইংরাজের হাইদরের বিপক্ষে অবাধে অস্ত্রচালনা করিবার সুযোগ পাইলেন । মহাদাজী সিন্দে সালবাই সন্ধিসাধনে মারাঠী পক্ষে সিন্দে প্রধান উদ্যোগী—মহাদাজী সিন্দে ; এই সন্ধিসূত্রে সিন্দিয়ার গুমর বাড়িয়া উঠিল। মহাদাজী প্রথমে সামান্ত পাটেল ছিলেন, গায়ের মোড়ল বই নয়—পেশওয়া সরকারে চাকর ; এইক্ষণে তিনি স্বাধীন রাজা, মারাঠী সর্দারদের অধিনায়ক হইয়া দাড়াইলেন। উত্তরোত্তর তাহার পদবৃদ্ধি, বলবৃদ্ধি, ঐশ্বর্য্য-বিস্তার হইতে চলিল। এই মহাদাজী সিন্দে মহারাষ্ট্রে বিপুল কীর্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন–জাতীয় বীরের মধ্যে ইনি শিবাজীর নিচেই গণনীয় । মহাদাজী সিনে উত্তর হিন্দুস্থানে স্বীয় আধিপত্য বিস্তারকরতঃ পাণিপতের কলs মোচনে ব্রতী হইলেন। সময় অমুকুল । মোগল রাজ্য জীর্ণ শীর্ণ ভগ্নচুর্ণ, চতুর্দিকে