পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ 8 আমার বোম্বাই প্রবাস অরাজকত-যার বল তারই জয়, জোর যার মুলুক তার। কিন্তু এই সকল সত্ত্বেও দিল্লী সিংহাসনের উপর লোকের অটল অনুরাগ। দিল্লীশ্বর বীর্য্যহীন, ঐশ্বর্য্যহীন কিন্তু তাহার নামে সকলেই মোহিত, তাহার সহযোগী হইয়া কার্য্য করিতে লোকে উৎসাহিত, তাহার প্রদত্ত মানার্জনে মহা মহা আমীরও আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করেন, সিন্দিয়াও অবসর বুঝিয়া কার্য্যারম্ভ করিলেন। দিল্লীর বাদস স আলম। র্তাহার উজীর নজফ খাঁর সম্প্রতি মৃত্যু হইয়াছে, এই ঘটনায় উজীর পদের জন্ত মহা বিবাদ বিসম্বাদ চলিতেছে। নজফের উত্তরাধিকারী আফ্রাসিয়াব। মহম্মদবেগ তাহার প্রতিদ্বন্দী, এই প্রতিদ্বন্দ্বী দমন মানসে BBBBB BBBB BBB BBBS BBB BBBB BB BBBBBB BBBBBB আগ্রায় গিয়া বাদসাহুের সহিত সাক্ষাৎ করেন । কিন্তু পরে আফ্রিাসিয়াব শত্রহস্তে নিহত হওয়ায় রাজ্যবিপ্লব দ্বিগুণতর জ্বলিয়া উঠিল । সকলেই সিন্দিয়ার দিকে তাকাইয়া, সিন্দিয়ার সাহায্যে নিজ নিজ কাজ সাধিবার চেষ্টায় ফিরিতেছে। সিন্দিয় দিল্লী প্রয়াণ করিয়া পেশওয়ার জন্য “বাদসাহী উজীর” পদবী আদায় করিলেন,– স্বয়ং বাদসাহী সেনাপতি পদ গ্রহণ করিলেন। সৈন্য সংরক্ষণে আগ্র দিল্লীর রাজস্ব নিয়োজিত হইল, এইরূপে গঙ্গা যমুনার মধ্যবর্ত্তী দে।অর্ণব প্রদেশ তাহার বশবর্ত্তী হইল। বাদস সৈন্তামাঝে সঙের মত এদিক ওদিক ফিরিতে লাগিলেন–সিন্দিয় মথুরাধামে নিজ নিকেতন স্থাপন করিলেন । সিন্দিয়ার মথুরা প্রবাসকালে ব্রিটিষ গবর্ণমেণ্ট পুণী দরবারে একজন রেসিডেন্ট বসাইবার চেষ্টায় মহারাজ সিদে সন্নিধানে দূত প্রেরণ করেন। ব্রিটিষ দূত ম্যালেট সাহেব মথুরায় সিন্দের সহিত সাক্ষাৎ করেন । মোগল সম্রাট স আলম তখন সিন্দের ক্যাম্পে, র্তাহার সহিতও সাক্ষাৎ হয়। কয়েক বৎসরের মধ্যে কি অগাধ পরিবর্তন ! ৪০ বৎসর পূর্ব্বে মারাঠা বীরের তাহদের কোটর হটতে বিনির্গত হইয়া ভারতক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয়। তথন দিল্লীশ্বরের মহিমামিহিরে দিক্ বিদিক্ ঝলসিত। সেকাল আর একাল ! এই অল্পকাল মধ্যেই তাহার সমস্ত মহিমা অস্তমিত হইয়াছে। সেই দিল্লীসম্রাট এখন বঙ্গীদের অনুগ্রহ ভিখারী, সিন্দিয়ার ক্যাম্পে আবদার করিতে আসিয়াছেন। সে যাহ। হউক, সিন্দের প্রসাদে ব্রিটিষ দৌত্য সফল হইল । পুণার রেসিডেন্ট সার জন ম্যালেট ১৭৭৫ সালে ম্যালেট সাহেব ব্রিটিষ রেসিডেণ্ট হুইয়া পুণায় প্রবেশ করেন ও কয়েক বৎসর দক্ষতার সহিত দৌত্যকার্য্য নির্ব্বাহ করেন। “ছুচ হইয় প্রবেশ, ফল হইয়া বাহির চুওয়া” ইংরাজ নয়-কৌশলের এই যে পরিণতি, পুণার ভাগ্যে তাহাই ঘটিল।