পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిఖీని & আমার বোম্বাই প্রবাস সিংহগড়, সিংহগড় হইতে রায়গড়, রায়গড় হইতে রত্নগিরির সমীপন্থ সুবর্ণদুর্গ, পরিশেষে, ব্রিটিষ পোতে বাসীনে উত্তীর্ণ হইয়। ইংরাজ চরণে আত্মসমর্পণ করিলেন । ডিসেম্বর মাসের শেষ দিনে বাসীনসন্ধি । বাসীনসন্ধি ৩১ ডিসেম্বর ১৮০২ এই সন্ধিযোগে পেশওয়ার স্বাধীন রাজ্য বিলুপ্ত হইল। সন্ধির মর্ম্ম এই, ইংরাজের পেশওয়াকে পৈতৃক সিংহাসনে বসাইয়া দিবেন,—পেশওয়া স্বীয় রাজধানীতে ব্রিটিষ সৈন্ত পোষণ করিবেন এবং তাছার ব্যয় নির্ব্বাহার্থে যাহাতে ২৬ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় হয় এমন ভূমিসম্পত্তি বন্ধক রাখিবেন। ব্রিটিষ গবর্ণমেণ্টের অনুমতি ব্যতীত সন্ধি বিগ্রহে হস্তক্ষেপ করিতে পরিবেন না। এইরূপে স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দিয়া বাজিরাও পুণায় প্রত্যাগত হইলেন। র্তাহার মসনদ প্রাপ্তি ঘোষণার্থে ১৯ তোপধ্বনি হইল। প্রকৃতপক্ষে এ তাহার সম্মানার্থে নহে, ইহা ইংরাজদের রাজালাভস্থ5ক জয়ধ্বনি। বাজিরাও সিংহাসন ফিরিয়া পাইয় যে বিশেষ কিছু লোভনীয় সামগ্রী লাভ করিলেন, তাহী নহে। তাহার রাজ্যের অবস্থা তখন অতীব শোচনীয়। কায়দা নাই, কামুন নাই, কোন প্রকার শাসন নাই—প্রজাদের যে ভয়ানক তুর্দশা তাহ কহতব্য নয়। পুণর আশপাশ পল্লীগ্রাম সকল দস্থ্য তস্করের আবাস--রাজপুরুষেরা তাহদের লুটের ভাগী ও প্রশ্রয়দাতা। পেশওয়ার নিজের রাজ্যশাসনের ক্ষমতা নাই। পুণ দরবারে অপর কোন যোগ্য শাসনকর্ত্তারও নাম গন্ধ নাই। বাজিরাও ইন্দ্রিয়পরায়ণ বিলাসী ছিলেন, তাহার নিজের আমোদ প্রমোদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করাই তাহার রাজত্বের একমাত্র উদ্দেশ্য। আদালত নাম মাত্র-যাহার পয়সা তাহরই জয় । ত্রিম্বকজী 桑 দুর্ভাগ্যক্রমে ত্রিম্বক জী ডাঙলিয়া নামক এক ব্যক্তি আবার তাহার মোসাহেব ও দুর্ম্মন্ত্রী আসিয়া জুটিল। যেমন রাজা তার উপযুক্ত মন্ত্রী। যেমনটি চাই বাজীরাও তেমনি ভৃত্য পাইলেন । এই সময়ে পেশওয়া ও গাইকওয়াড় সরকারের মধ্যে রাজস্ব সম্বন্ধে বিবাদ উপস্থিত । গাইকওয়াড়ের তরফ হুইতে গঙ্গাধর শাস্ত্রী এই বিবাদভঞ্জন কার্য্যে পুণায় আগমন করেন । ব্রিটিষ গবর্ণমেণ্টকে তাহার প্রাণ রক্ষার জন্ত দায়িত্ব স্বীকার করিতে হইল। শাস্ত্রীর আগমন পেশওয়ার মনঃপূত হয় নাই। তাই বাহিরে যতই ভদ্রতাচরণ করুন, ভিতরে ভিতরে তাহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আরম্ভ করিলেন। বাঙ্গীরাওয়ের নিমন্ত্রণে শাস্ত্রী মহাশয় পগুরপুর তীর্থে গমন করেন। ১৪ই জুলাই