পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বোম্বাই প্রবাস * 8 ఫి পূর্ব্বদ্বার উদঘাটনপুর্ব্বক পূর্ব্বদিকের মণ্ডপে অধিষ্ঠান করিতেছেন। প্রতীচ্য পণ্ডিতগণ পশ্চিমম্বার এবং উদীচ্য পণ্ডিতগণ উত্তরদ্ধার উন্মোচনপূর্ব্বক পশ্চিম ও উত্তরদিগর্ত্তী মণ্ডপে বিরাজমান। কিন্তু দাক্ষিণাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি •জন্মগ্রহণ করেন নাই যিনি দেবীর দক্ষিণদ্বার উন্মোচন করিতে পারেন। সুতরাং দেবীর দক্ষিণদিকের দ্বার চিরকাল রুদ্ধ আছে।” শঙ্কর সেই দ্বার খুলিতে প্রতিজ্ঞারূঢ় হইলেন। কিন্তু পরীক্ষা না দিয়া প্রবেশের অনুমতি নাই। শঙ্কর নানা সম্প্রদায়ের পণ্ডিত—নৈয়ায়িক সাংখ্যতত্ত্ববিং, বৌদ্ধ, জৈন সকলকে বিচারে পরাস্ত করিয়া “সর্ব্বজ্ঞ’ বলিয়া সমাদৃত হইলেন। কাশ্মীরের পণ্ডিতগণ তখন স্বয়ং মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করিয়া শঙ্করের প্রবেশপথ মুক্ত করিয়া দিলেন। শঙ্কর কাশ্মীর হইতে বদরিকাশ্রমে চলিয়া যান ও র্তাহার জীবনের কার্য্য সমাপ্ত করিয়া হিমালয়স্থিত কেদারনাথে গিয়া নির্বিকল্প সমাধিযোগে ৩২ বৎসর বয়সে মর্ত্তাধাম পরিত্যাগ করেন । শঙ্করাচার্য্য জীব ও ব্রহ্মেব অভেদমূলক অদ্বৈতবাদ পোষণ করিয়া বেদান্তদর্শন, উপনিষদ, ভগবদগীত শাস্ত্রাদির ভাষ্যরচনা করিয়া গিয়াছেন । তাঁহাতে র্তাহার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও যুক্তি তর্কের নৈপুণ্য দেখিয়া মুগ্ধ হইতে হয়। যদিও অদ্বৈত ব্রহ্মবাদ তাহার প্রকৃত মত ও নিগুর্ণ উপাসনা প্রচার তাহার মুখ্য উদ্দেশ্য, তথাপি তিনি গৌণভাবে সাকার উপাসনার পক্ষপাতী ছিলেন। যে জড়বুদ্ধি লোকের নিগুঢ় ব্রহ্মজ্ঞানের অনধিকারী, তিনি তাহাদেব ধারণার উপযোগী সাকারবাদের সুলভমার্গ প্রদর্শিত করিষ্কাছেন। এক দিকে যেমন জ্ঞানিগণ মধ্যে প্রাচীন ব্রহ্মতত্ত্ব অদ্বৈতবাদ, অন্য দিকে প্রাক্কত সাধকের মধ্যে দেবদেবীর উপাসন প্রচার করিয়াছেন । এই হেতু দেখা যায় যে সকল সম্প্রদায়ের লোকই তাহার প্রতি গুরুভক্তি প্রকাশ করে । তাহার নাম “ষণুতস্থাপক ৷” বেদান্ত শাস্ত্র ও তত্ত্বজ্ঞান প্রচার উদ্দেশে তিনি চারি স্থানে চারিটি মঠ স্থাপন করেন । মহীশূরস্থ শুঙ্গিরি (শৃঙ্গগিরি ) মঠ তন্মধ্যে সর্ব্বপ্রধান। শৃঙ্গগিরি ঋষ্যশৃঙ্গ ঋষির জন্মস্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। এই মঠের যিনি অধিস্বামী তিনি মারাঠীদের ‘পোপ’ –শ্বঙ্গিরি মঠ হইতে তিনি তাহার অনুশাসন সমস্ত জারী করেন । শঙ্করাচার্য্যের উত্তরাধিকারীগণের মধ্যে বেদভাষ্যকার সায়নাচার্য্য পরিগণিত। মারাঠা দেশে শঙ্করাচার্য্যের মানমর্য্যাদার সীমা নাই । যখন অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজন হয় তখন আচার্য্যদেব শৃঙ্গিরি হইতে শিষ্যমণ্ডলীর মধ্যে অবতরণ পূর্ব্বক ভাণ্ডার পূর্ণ করিয়া স্বস্থানে ফিরিয়া যান। দক্ষিণে প্রবাসকালে আমি শঙ্করাচার্ঘ্যের প্রভুত্বের দুই একবার পরিচয় পাইয়াছি। আমি যখন পুণায় কর্ম্ম করি, শুনিলাম যে সমাজংস্কার কাজের অগ্রগণ্য কয়েকজন খ্যাতনামা মারাঠী যুবক কোন মিসনরি বন্ধুগৃহে চ পান করিয়াছিলেন, এই অপরাধে তাহদের সমাজে মহা গণ্ডগোল বাধিয়া যায়। শেষে সাব্যস্ত やマ