পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

き*8 আমার বোম্বাই প্রবাস উপসংহার উপসংহারে আমার বক্তব্য এই যে সিবিলিয়ন ও অপরাপর ইংরাজ কর্ম্মচারীদের সঙ্গে আমার সদ্ভাব ও হৃষ্ঠতার অভাব ছিল না। ইংরাজমহিলাদের সঙ্গেও আমাদের সর্ব্বদা দেখাশুনা মেলামেশা হইত। একসঙ্গে টেনিশ খেলা, ভোজনগৃহে একত্র মিলন, মফস্বল ষ্টেশনে ইংরাজদিগের যে সমস্ত সমাজ-বন্ধনের নিয়ম, আমরাও সেই গণ্ডীর অন্তভূর্ত ছিলাম। ইহার কেহই আমার সম্বন্ধে নিমন্ত্রণ আমন্ত্রণাদি ভদ্রব্যবহারের ক্রটি क्ष्ब्रन नहे । हेरज्ञात्रि-क्लष्बन्न अरबंदोब्ब श्रभाब छछ भूङ झ्लि–७मन कि সোলাপুর ক্লবের প্রেসিডেন্টরূপে আমি কয়েক বৎসর কার্য্য করি । কিন্তু এই যে দেশী ও ইংরাজদের মধ্যে ঘনিষ্ঠত এ কেবল আমার নিজের সম্বন্ধে বলিতেছি। সাধারণতঃ দেশী ও অঙ্গলো-ইণ্ডিয়ানদের মধ্যে পরস্পর সামাজিক সম্বন্ধ তেমন সন্তোষজনক বলিতে পারি না। তাহদের মধ্যে যে বৃহৎ প্রাচীর পরস্পরকে বিযুক্ত রাখে তাঙ্গ উল্লঙ্ঘন করা সহজ নহে । তার অনেকগুলি কারণ আছে —

  • -s own on East is East, west is west—of a পূর্ব্ব, পশ্চিম সে পশ্চিম , তাদের বিধাতাদত্ত প্রকৃতিগত যে পার্থক্য তাহ ঘোচাইতে পারে কাহার সাধ্য ? তাছাড়া ইংরাজের রাজার জাতি, আমরা পরাজিত প্রজার জাতি। আর উপর ‘এক গোর এক কালা'। আবার এই বর্ণভেদের সঙ্গে সঙ্গে আচার ব্যবহার ভাষা ধর্ম্ম সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ বিভিন্নতা। এই জাতিগত বৈষম্য হইতে বিদ্বেষ ভাব উৎপন্ন হওয়া স্বাভাবিক। বৈদিককালে আর্য ও দস্থ্যদের মধ্যে এই কারণে যে বিষম বিদ্বেষানল প্রজলিত হইগছিল, বেদের মধ্যে তাহার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।

দ্বিতীয়।—ইংরাজের এদেশে চারিদিনের যাত্রী। অর্থোপার্জনের জন্য এদেশে আসা এবং টাকা করিয়া স্বদেশে চলিয়া যাওয়া। তাহাদের শরীর এক দিকে, মন অন্য দিকে। বিশেষতঃ ইউরোপ ও ভারতবর্ষের মধ্যে যাতায়াতের এমন সুবিধা হইয়াছে যে, তাহাতে এদেশের উপর ইংরাজদের টান থাকিবার অল্পই সম্ভাবনা। আগেকার কালে দেশীয়দের উপর এক একজন ইংরাজের সময়ে সময়ে বিলক্ষণ মমতা দেখা যাইত। তাহার কারণ এই, তাহারা ভারতবর্ষে অধিককাল বাস করিয়া এদেশকে স্বদেশতুল্য জ্ঞান করিতেন ; কিন্তু এক্ষণে আর সেভােব নাই। ইংরাজেরা এখানে প্রবাসীর মত থাকিয় চলিয় বন । নানা পক্ষী এক বৃক্ষে নিশিতে বিহরে মুখে প্রভাত হইলে দশ দিকেতে গমন ।” তৃতীয়।—ইংরাজের স্বভাব কতকটা সামাজিকতার বিরোধী। তাছারা আপনাদের