পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ আমার বাল্যকথা টাইটানিক জাহাজ ডুবিই তার জলন্ত প্রমাণ ! এই সন্ধা বাব আবৃত্তি করবার নিয়ম ; কিন্তু ঐ নিয়ম বেশীদিন পালন করেছিলুম বলে বোধ হয় না। পরে আমরা মহর্ষির উপদেশে জানলুম যে, উপবীত গ্রহণের মুখ্য তাৎপর্য্য – গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষা।--তা হ’তেই আমাদের নূতন জন্ম—তখন থেকে আমরা দ্বিজ। ব্রহ্মসাধনের অঙ্গরূপে গায়ত্রী মন্ত্রের উপর পিতৃদেবের কতটা আস্থা ছিল তা তার আত্মচরিতে দেখতে পাই । তিনি বলছেন— “পুরুষমুক্রমে আমরা এই গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া আসিতেছি। এই মন্ত্র আমাদের শিরায় শিরায়। যদিও আমি বুঝিলাম মে, ব্রহ্মোপাসনার জন্ত গায়ত্রী সাধারণের পক্ষে উপযুক্ত নহে, কিন্তু আমি সেই সাবিত্রী দেবীকেই ধরিয়া রহিলাম, কখনো পরিত্যাগ করিলাম না। গায়ত্রীর গৃঢ় ভাবার্থ আমার মনে দিন দিন আরো BBB DDB BBB S DB BB SBBBBBS BBBBBS BBB BBB BBB মিশিয়া গেল। ইহাতে আমার দৃঢ় নিশ্চয় হইল যে, ঈশ্বর আমাকে কেবল মুক সাক্ষীর দ্যায় দেখিতেছেন তাহী নহে। তিনি আমার অন্তরে থাকিয় অনুক্ষণ আমার বুদ্ধিবৃত্তি সকল প্রেরণ করিতেছেন। ইহাতে তাহার সহিত একটি ঘনিষ্ঠ জীবন্ত সম্বন্ধ নিবদ্ধ হইল।” ৪৫–৪৬ পৃঃ । আমাদের মধ্যে উপনয়ন প্রথা সাধারণত যে ভাবে প্রচলিত আছে তাহ অর্থহীন আড়ম্বর মাত্র। বৈদিক ক্রিয়া সংক্ষেপে সারিয়া ফেলা—ঐ ক্রিয়ার সারভাগ পরিত্যাগ করে যেন শুধু খোলসটা রাখা হয়েছে। পিতৃদেব যে ভাবে উপনয়নকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছেন তাতে প্রাচীন প্রথার কাছাকাছি যতটা রাখা যেতে পারে তার চেষ্টা করা হয়েছে। আদি ব্রাহ্মসমাজের অনুষ্ঠান পদ্ধতির উপনয়ন-ভাগ দেখিলেই তাহ স্পষ্ট বোধগম্য হয় । - এই অনুষ্ঠানে গায়ত্রী মন্ত্রের শ্রেষ্ঠত রক্ষিত হয়েছে। ব্রহ্মচারীর প্রতি উপদেশে এই মন্ত্রের বিশদ ব্যাখ্যা দৃষ্ট হবে। সেই উপদেশের সারমর্ম্ম এই – “গায়ত্রী মন্ত্র তোমাদের ইহকালের অবলম্বন, পরকালের সম্বল। সেই মন্ত্র দ্বার ঈশ্বরকে মনন করিবে, তার জ্ঞান শক্তি ধ্যান করিবে। ওঁ বলিয়া ব্রহ্মকে অস্তরে জানিবে এবং ভূভুবঃ স্বঃ বলিয়া স্বর্গমর্ত্য অন্তৰীক্ষ, বহির্জগতে তাহার আবির্ভাব দেখিবে। তিনি এই বিশ্বসংসার রচনা করিয়া আমাদের কাহারে নিকট হইতে দূরে নাই— তিনি আমাদের অন্তরে থাকিয় আমাদের প্রত্যেককে শুভবুদ্ধি প্রেরণ করিতেছেন— ‘ধিয়োয়োন: প্রচোদয়াৎ ” গায়ত্রী মন্ত্রের অর্থ এই ।