পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 আমার বাল্যকথা সকলে মোহিত হয়ে যেত। প্রহ্লাদ কত প্রকার উৎপীড়ন সহ্য করছে, আমরা তার দুঃখে অশ্রুপাত করতুম। এত উৎপীড়নেও তার ভক্তির স্খলন নেই। সে আপনাকে শোধরাবার কত চেষ্টা করছে কিন্তু সহস্ৰ চেষ্টাতেও তার চিরকালের অভ্যাস কোথায় যাবে ? কালী কালী বলে ডাকি সদ। এই বাসন অভ্যাস দোষেতে তবু কৃষ্ণ বলে রসনা । কিন্তু যাত্রার গানের চেয়ে আমাদের সং দেখতে বেশী আমোদ হ’ত । রামায়ণের পালাতে সঙের আসল ঘটা—এদিকে রাবণ কুম্ভকর্ণ প্রভৃতি রক্ষসের দল, ওদিকে আবার রামের বানর সৈন্ত,—সবই সঙ্গীন ব্যাপার। আমরা সারারাত কিছু সভায় থাকতুম না, রাত্রিশেষে আমাদের ঘুম থেকে উঠিয়ে আনা হ’ত। কোন ভাল অদ্ভুত রকম সং আসছে তাই দেখবার জন্তে আমরা তাড়াতাড়ি উঠে আসতুম। দেখতে দেখতে তিন দিন চলে গেল—বিজয়ী এল, প্রতিমা ভাসান দিতে নিয়ে যাবে—কি আপশেষ ! দুর্গ অশ্রীপুর্ণ নয়নে বিদায় নিয়ে চল্লেন, মনে হ’ত সত্যিই দেবীর চক্ষে জল এসেছে। বিজয়ার দিন প্রত্যুষে আমাদের গৃহগায়ক বিষ্ণু আগমনী ও বিদায়ের গান করতে আসতেন। যাত্রার গান যেমন প্রাকৃত বিষ্ণুর তেমনি Classical—সে কি চমৎকার ঠেকত, শুনে শ্রোতৃমণ্ডলী মোহিত হয়ে যেত। বিষ্ণুর একটি আগমনী গান আমার এখনো মনে আছে— আজু পরমাননা আনন্দ ! মৰ্ম গৃহে আলে। যাও যাও সহচরী, আন ডেকে পুরনারী বরদীরে বরণ করি বিলম্বে কি ফল । এস উমা করি কেলে, মাকে মা কি ভুলে ছিলে, এত দিন পরে এলে বুঝি মনে ছিল। भt ट्झ भभष्ठ! भ{ब्ल, জাননা গে। উমা অ{মীর পাষাণ স্বভাব তোমার কিছু থাক ভাল । তখনকার পূজার আমোদ প্রমোদ যাত্র উৎসবের মধ্যে সাত্ত্বিক ভাব, আধ্যাত্মিকতা কি ছিল এক একবার ভাবি। দালানে গিয়ে সন্ধ্যার আরতি দেখতে যেভূম, তাতে ধূপধুনা বাদ্যধ্বনির মধ্যে আমরা ঠাকুরকে প্রণাম করে আসতুম। এত বাহ আড়ম্বরের