পাতা:আমার বাল্যকথা ও আমার বোম্বাই প্রবাস.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 আমার বাল্যকথা কখন টকরাটকরি ঘুসোধুসিও হ’ত। এই রকম একটা দ্বন্দ্বযুদ্ধের কথা আমার মনে আছে । একটি ছেলের সঙ্গে আমাব হাতাহাতি ব্যাপীবের কথা আমাদের Rector-এর কাণে গিয়েছিল । কার দোষ সে বিষয় অনুসন্ধান না করেই বোধ কবি আমাকেই প্রথমটা তিনি দোষী বলে সাব্যস্ত করে থাকবেন। কেননা আমাদের কিছু আগে একটা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল তাতে আমার যে প্রাইজ পাবার কথা ছিল তা বন্ধ করবেন বলে শাসিয়েছিলেন, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আমার সেরূপ কোন শাস্তি হয় নাই। আমি ইংরাজি সাহিত্যে বেশ ভাল রকমই পরীক্ষা দিয়েছিলুম। Goldsmithএর একটি সেট বই তাতে প্রাইজ পাই । আমার ক্লাসের ছেলেদের সন্তুষ্ট করবার এক সহজ উপায় ছিল – তাদের মসলা বিতরণ করা । আমার পকেটে সুপারি এলাচ লবঙ্গ প্রভৃতি মসলা থাকত, তাই থেতে তার খুব ভালবাসত, কাজেই আমার সঙ্গে তাদের ভাব রাখতে হ’ত। মাষ্টারেরও আমাকে ভালবাসতেন —Pridham সাহেব আমাকে বড় অনুগ্রহ করতেন —তার ঘবে নিয়ে গিয়ে আমাকে ছবি দেখাতেন আর তিনি নিজে যখন ছবি অঁাকতেন তখন আমি বসে বসে দেখতুম। অন্তান্ত ছেলেদের মত মাষ্টারদের কাছ থেকে আমাকে বেত্রাঘাত সইতে হ’ত না । এক একটা মাষ্ঠীর ভয়ানক গোয়ার ছিল—ছেলেরা তার বেত্রাঘাতের ভয়ে সর্ব্বদাই সশঙ্কিত থাকত। আর দুই একটি ছেলের প্রতি তার বিশেষ ক্রোধকটাক্ষ দেখতুম, তাদের প্রতি অকারণ অত্যাচার দেখে আমার ভারি কষ্ট হ’ত । বেচারাদের পিঠের চামড়া বোধ করি কোনখানে অক্ষত ছিল না । সেণ্টপল ছেড়ে পুনর্ব্বার হিন্দু স্কুল । সেখান থেকে প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ করি । রামচন্দ্র মিত্র কলেজে আমাদের যে সব শিক্ষক ছিলেন তাদের মধ্যে রামচন্দ্র মিত্র উল্লেখযোগ্য । তার কাছে আমরা খামাচরণ সরকারের বাঙ্গলা ব্যাকরণ ও অন্তান্ত বাঙ্গল বই পড়তুম। র্তার সম্বন্ধে অনেকগুলি প্রবাদ আছে ; অনেকগুলি অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনাও আমাদের স্বচক্ষে দেখা —তার চেহারা ধরণ ধারণ সকলি কৌতুকাবহ । কোন বড় লোকের সঙ্গে আলাপ করতে হ’লে পায়ে প৷ c#fft: ‘I beg your pardon’ HIGI ERi zitosti করা হত; সেই আলাপের স্বত্রপাত। ক্লাসের ছেলেরা দুষ্ট,মি করে অনেক সময় তাকে জালাতন করত কিন্তু কোন ছেলের প্রতি কিরূপ ব্যবহার করতে হবে—কোথায়