পাতা:আমার বাল্যকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
আ মা র বা ল্য ক থা

দিয়েই দেশভ্রমণে বাহির হন—কিন্তু সেই ভ্রমণে তাঁর শরীর শোধরান দূরে থাক্ তিনি ক্লিষ্ট ক্লান্ত রোগগ্রস্ত হয়ে বাড়ী ফিরে আসেন। এই যে তাঁকে রোগে ধরল তার হস্ত হতে তিনি আর মুক্ত হতে পারলেন না। এই জীর্ণ শীর্ণ রুগ্ন শরীরে তাঁর শেষজীবন অতিবাহিত হয়। তাঁর উপর দিয়ে কত ডাক্তারী, হাকিমী চিকিৎসা পরীক্ষিত হল কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। একজন হাকিম মুক্তাচূর্ণ ঘটিত এক বহুমূল্য ঔষধ প্রস্তুত করে আনে ও তিনি সেই ঔষধ সেবন করেন কিন্তু তাঁহার মূল্যের অনুরূপ গুণের কোন পরিচয়ই পাওয়া গেল না। তাঁর সেই পীড়িত অবস্থায় আমি তাঁর সঙ্গে এঁড়েদহ বাগানে কিছুদিন বাস করেছিলুম, ক্রমে তার পীড়া বৃদ্ধি হতে লাগল। তাঁর শরীর ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়ে এল, অবশেষে আমাদের সকলকে শোকসাগরে ভাসিয়ে অকালে কালগ্রাসে পতিত হলেন।