পাতা:আমার বাল্যকথা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আ মা র বা ল্য ক থা
৯১

Till thou, still present to the
Bodily sense,
Did'st vanish from my thought
Entranced in prayer,
I worshipped, the Invisible alone!”

 হে গিরিরাজ, তোমাকে ভুলিয়া সেই অমূর্তের ধ্যানে মগ্ন হইলাম ৷

 শেষে ষ্টিমারে করে Lucerne সরোবরের উপর পরিভ্রমণে পাল। সাঙ্গ হল। য়ুরোপের মুক্তক্ষেত্র হতে আবার আমরা ক্ষুদ্র ছাত্রাবাসে প্রত্যাবর্তন করলুম। বাড়ী গিয়ে আমার এই জয়বার্তা ঘোষণা করবার জন্য মন ছটফট করছে কিন্তু এই গেল প্রথম পরীক্ষা, দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য আর এক বৎসর অপেক্ষা করতে হবে। সে বৎসর লণ্ডনে University Hall গৃহে সেই পরীক্ষার উপযোগী পড়াশুনায় সময় কেটে গেল। সেও এক ছাত্রাবাস কিন্তু প্রথমোক্ত পল্লীতে আমরা যে-ভাবে ছিলুম এখানে তা হতে স্বতন্ত্র বন্দোবস্ত। পারিবারিক শৃঙ্খলার অভাব। যিনি আমাদের প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি নির্লিপ্তভাবে দূরে থাকতেন— তাঁর সঙ্গে খাবার টেবিলের যা আমাদের দেখা হত। আমাদের সব নিজের গোছগাছ করে নিতে হত। দু একটি ছাত্রের সঙ্গে আমার খুব হৃদ্যতা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখন কেবল একটির নাম (Schwanne) দেখতে পাই, যিনি এক্ষণে পার্লামেণ্টের মেম্বর। দ্বিতীয় পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আমার দেশে ফেরবার সময় এল। তখন আমার বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কবির আশীর্বাদ সহকারে ভারত অভিমুখে যাত্রা করলুম। মনোমোহন ‘মন্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পাতন’ পণে সে দেশেই পড়ে রইলেন। কবির আশীর্বাদ—

সুরপুরে সশরীরে শূরকুলপতি
অর্জুন, স্বকাজ যথা সাধি পুণ্যবলে