পাতা:আমিষ ও নিরামিষ আহার প্রথম খণ্ড.djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন।

 শৈশব হইতেই পিতৃদেব আমাদের যেমন লেখা পড়া গান-বাজনা শিক্ষা দিতেন সেইরূপ তিনি পাক কার্য্যেও আমাদিগকে সুদক্ষ করিতে যত্নবান ছিলেন; তাঁহার মনোগত অভিপ্রায় ছিল এই যে ভবিষ্যতে তাঁহার পুত্র কন্যারা এ দোষ দিতে পারিবে না যে তিনি কোন বিষয়ে তাহাদিগকে শিক্ষা দেন নাই বা শিক্ষা দিতে অবহেলা করিয়াছেন। সুদক্ষ পাচকদিগকে নিযুক্ত করিয়া পিতৃদেব পাককার্য্য আমাদিগকে রীতিমত শিক্ষা দান করিয়াছিলেন। এ বিষয়ে তাঁহার নিজেরও বিশেষ মনের টান ছিল। তিনি খাদ্যপাককে বিজ্ঞানের অঙ্গরূপে দেখিতেন। রসায়ন বিজ্ঞান পুস্তক প্রণয়নের সমকালে তিনি নিজে একখানি পাক পুস্তক রচনা করিতে মনস্থ করিয়া কতকগুলি খাদ্যের প্রস্তুত প্রণালী লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। সেগুলি আমরা “আমিষ ও নিরামিষ আহারে”র অন্তর্ভুক্ত করিয়া লইয়াছি। উহাতে চাটনী, মোরব্বা, হালুয়া প্রভৃতি অনেকগুলি উপাদেয় সামগ্রীর প্রস্তুত প্রণালী লিপিবদ্ধ করিয়া গিরাছেন। সেগুলি এই পুস্তকের অন্যান্য খণ্ডে তাঁহার নাম সহ প্রকাশিত হইবে। সে সময়ে বঙ্গ-ভাষায় একখানিও পাকপুস্তক প্রকাশিত হয় নাই।

 শৈশবে যে ভাব অঙ্কুরিত হয় বয়োবৃদ্ধি সহকারে ক্রমশঃই তাহা পল্লবিত হইয়া উঠে। রন্ধনটা যখন আমাদের ভালরূপে অভ্যস্ত হইল তখন নিজে রাঁধিয়া সকলকে আহারে তৃপ্ত করিয়া বেশ আনন্দ হইতে লাগিল? কিন্তু গৃহে যেটী রাঁধি তাহাতে কয়েকটী আাত্মীয় স্বজন মাত্র তৃপ্তি লাত করেন। আমাদের ইচ্ছা হইল যে