পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অধ্যায়: পাঁচ

ঈশ্বর বিশ্বাস: আপ্লুত বিজ্ঞানী ও মৌলবাদী চক্রান্ত

হিন্দু-বিজ্ঞানী ও মৌলবাদী চক্রান্ত

‘দেশ’ পাক্ষিক পত্রিকার ২২ এপ্রিল ১৯৯৫ সংখার ৪৬ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় কলম থেকে একটি অংশ তুলে দিচ্ছিঃ

 “বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে ভগবানের অস্তিত্ব প্রমাণের একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে। যে পদ্ধতিতে এটা করা হয়ে থাকে, তার নাম মানুষমুখী নীতি (Anthropic Principle)। এতে দেখান হয় যে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির বিভিন্ন সময়ে বহু সম্ভাবনার মধ্যে একটি বিশেষ এবং নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটেছে বারে বারে এভাবে বহু সম্ভাবনার মধ্যে নির্দিষ্ট একটা বাস্তবায়িত হয়েছে, ফলে মানুষ পর্যন্ত এসেছে। যদি একবারও এর ব্যতিক্রম হত, তবে মানুষের উদ্ভব সম্ভব হত না।”···“অর্থাৎ প্রথম থেকেই সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল মানুষমুখী। ক্রিয়ার উদ্দেশ্য থাকে কর্তার মনে, কাজেই এই উদ্দেশ্যটা ভগবানেরই ছিল। এই নীতি খ্রিস্টীয় ধর্মতত্ত্বের teleological principle-এর একটা বৈজ্ঞানিক রূপ।”

 প্রবন্ধটির শিরোনাম ‘বিজ্ঞান ও ভগবান’, লেখক: হৃষীকেশ সেন।

 বাস্তবিকই কিছু কিছু বিজ্ঞান পেশার মানুষ বিজ্ঞান মনস্কতাকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজের বিশ্বাস-নির্ভর চিন্তাকে হাজির করতে শুরু করেছেন নতুন ভাবে, নতুন মোড়কে, বিজ্ঞানের শব্দ যুক্ত করে, বিজ্ঞানের এসেন্স মাখিয়ে। তাঁরা ভুলে যান বা ভুলে থাকতে চান—বিজ্ঞানের বেঁচে থাকার ‘অক্সিজেন’, ‘জিজ্ঞাসা’, ‘সন্দেহ’ ও ‘প্রমাণ’। বিজ্ঞানের জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে, কার্যকারণের

১২৬