পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অধ্যায়: তিন

ঈশ্বর বিশ্বাস: বিজ্ঞান-সভ্যতা-অগ্রগতি


কারণ: উনিশ

আসলে একটা পাওয়ার যে গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে নিখুঁত নিয়মের বাঁধনে সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে, এটাকে তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এই পাওয়ারকে 'ঈশ্বর' বললে ক্ষতি কী?


রাণা ও দোলন আমার পুরোন বন্ধু। দু’জনে বিয়ে করেও ঠিক জমিয়ে সংসার পাততে পারেননি। রাণা বি ডি ও দোলন ইনকামটান্সের অ্যাসিস্ট্যাণ্ট কমিশনার। দু’জনে দু'শহরে থাকেন। মাসে একটি দিনের জন্য সাধারণত দুজনের দেখা হয়। বছর খানেক আগে ওদের আমন্ত্রণে কাঁকুড়গাছির ফ্ল্যাণ্টে গিয়েছিলাম। তুমুল আড্ডার মাঝে বহু প্রসঙ্গের মধ্যে আমাদের সমিতির কাজ-কর্মও কেমনভাবে যেন ঢুকে গেল। দুজনেই শিব-কালী-আল্লা ইত্যাদির অস্তিত্বকে ‘বোগাস' বলে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, “আসলে একটা পাওয়ার যে গোটা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডকে নিখুঁত নিয়মের বাঁধনে সৃষ্টি ও নিয়ণ করে চলেছে, এটাকে তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এই পাওয়ারকে কেউ যদি ঈশ্বর বলে, ক্ষতি কী?”

 প্রায় একই সুরে কথা বলেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রবীণ বিজ্ঞানের অধ্যাপক, “জোতির্বিজ্ঞানের এইসব উন্নতির ফলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি পদ্ধতির অনেক কিছুই আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আজও জানতে পারিনি এই আলোকবর্ষের পর আলোকবর্ষ জুড়ে যে বিশাল বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, তার স্রষ্টা ও পরিচালনকারী শক্তি কে? এই স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক শক্তির নাম যদি দিই ঈশ্বর, তবে তার অস্তিত্ব মানতে অসুবিধে কোথায়?”

৪৫