পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অধ্যায়: চার

ঈশ্বর বিশ্বাস: মানবতা-সুনীতি-দুর্নীতি


কারণ: পঁয়তাল্লিশ

কোন্‌ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ঈশ্বর ভক্তকে স্বর্গ দিতে পারে?

প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই সোচ্চারে বলে - স্রেফ তাদের ঈশ্বরই পারে স্বর্গে নিয়ে যেতে, তাদের ধর্মীয় অনুশাসনই স্বর্গের একমাত্র দিশা। শুধু এটুকু বলেই তারা ক্ষান্ত হয় না। পরন্তু এ ও বলে, তাদের ধর্ম ভিন্ন অন্য ধর্মে বিশ্বাস রাখলে নরক ছাড়া গতি হবে না। অন্য ধর্মের অনুশাসন কাঁটায় কাঁটায় মেনে চললেও সে'সব ধর্মের সাধ্য হবে না স্মরণাগত ভক্তদের স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার। সত্যি বলতে কি, স্বর্গে যাওয়া তো দূরস্থান, সাধ্য হবে না ভক্তদের অনিবার্য নরকবাস থেকে বাঁচাবার।

 মনুসংহিতায় ও ভগবদ্‌গীতায় বলা হয়েছে - বৌদ্ধ, জৈন, চার্বাকপন্থী সহ সমস্ত বেদ-বিরোধী (অর্থাৎ মুসলিম, খ্রিস্ট সহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম) নাস্তিক পাষণ্ডদেরই ভগবান জন্মে জন্মে বার বার নরকে নিক্ষেপ করবেন।

 তাহলে কি হিন্দু ভিন্ন অন্য যে কোনও ধর্মই জীবাণুর ভূমিকা গ্রহণ করে? এবং জীবাণু আক্রমণের ফল ভুগতে হয় মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে?

 হিন্দু সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের কাছে প্রশ্ন দু'টি এলে তিনি দুবারই 'হ্যাঁ' বলতেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন, ভারতীয় সমাজে ইসলামের আগমন, সুস্থ মনুষ্যদেহে জীবাণুর আক্রমণের সঙ্গে তুলনীয়। [বাণী ও রচনা, স্বামী বিবেকানন্দ, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩]

৯৬