পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ সংগ্রামের শেষ নেই। অশোককে চেনা যায় না! গালে দাড়িগুলো বেড়ে উঠেছে। মাথার চুলও কাটা হয় নি। মুখে একটা শীর্ণতা ফুটে উঠেছে। এক অশোক নয়, ওরা অনেকেই এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এই মতবাদের লড়াই ক্রমশ মত্ততার লড়াই-এ পরিণত হয়েছে। এখানে কোন আপোস নেই। বস্তির এই দিকটায় অন্ধকার জমে আছে। ওরা তাড়া খেয়ে দূর অঞ্চলের এই গোপন আস্তানায় এসে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। ওই সব অঞ্চলে তাদের ফেরার পথ নেই। সেখানে ওৎ পেতে আছে তাদেরই ভূর্তপূর্ব বন্ধু-সহপাঠির দল। একসঙ্গে খেলেছে, পড়েছে একদিন অতীতে, আজ কি এক হিংস্রতায় তারা পরস্পর পরস্পরকে খুজে ফিরছে। দেখা হলেই হানাহানি বেধে যাবে। দূরে কোথায় রাতের অন্ধকারে বােমার শব্দ ওঠে। কঁপিছে মুলি বাঁশের ঘরটা। পরেশ রাগে গজাচ্ছে। -একদিন এইবার লড়ে যাবো, ওদের ঠান্ড করে দিতে হবে। (द० ऊों ७ों को ! খাওয়া জোটে নি। আজ। গুপীনাথ ফিরে এসেছে। শূন্য হাতে। বলে সে। —গোর্বদ্ধন আর দেবে না কিছু, ও এখন মত বদলেছে। বলে তোমাদের পথে আর নেই। পরেশ গর্জে ওঠে। —আজি চৈতন্য হয়েছে ব্যাটার, তখন তো খুব মদত দিয়েছিল। এখন ভানুর দলকে মদত দিচ্ছে। ছেলেগুলো অন্ধকারে বিবর্ণ মুখে বসে আছে। ওদের আজ বন্য আদিম শ্রেণীতে ঠেলে দিয়েছে ওই গোর্বন্ধনের মত স্বার্থবাদীদের দল। ফেরার পথও রাখে নি। মরীয়া হয়ে উঠেছে তারা। কে বলে। --গোবরা বাঁচবে। এই করে? আমাদের শেষ করে ও বাঁচবে? δ ο Ο