পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

— মানে, ওঁর গান তো প্রাযই শোনে সকলে, আপনি এখন বাইজিং--তাই আপনাকেই নিয়ে যেতে চাই। অবশ্য আপনার যা প্রণামী -তা নিশ্চয়ই দেব। যদি &r তার মনের আঘাতটা সামলে নিয়ে সুলেখাদিই বলে-হাঁ যাবে। ভদ্রলোক টাকাকড়ি দিয়ে চলে গেলেন। সাবিত্রীর ভালো লাগে না ব্যাপারটা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রায়ই ঘটতে থাকে। সুলেখাদির আশ্রয়ে থেকে তার সঙ্গে এমনি ব্যবহার করতে বিশ্রী লাগে তার। তাই সাবিত্রী বলে ওঠে। —ওসব আমি চাই নি লেখাদি। তোমার সামনে ওরা এইসব কথা বলবে। আমি কি এমন গাইতে পারি যে তোমার মুখেৰ ওপর ওরা এসব শোনাবে? গান গাইবো না তার চেয়ে সেই-ই ছিল ভালো। ওখানে না গেলেই ভালো হতো। সুলেখাদির কাছে সাবিত্রী নিজেকে ছোট বোধ করে। সুলেখা বলে। --শিল্পীরও যৌবন আছে রে। তাদেব প্রতিভারও যৌবনেই পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। এই সময নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো। আমাদের গান হয়তো ওদেব পুরোনো লাগে, তাই নতুনকেই চায় তারা। --ছাই। আমার গানের দাম কি বলো ? সাবিত্রী সুলেখাদির দিকে চেয়ে থাকে। তারই দয়ায় এখানে ঠাই পেয়েছে সাবিত্রী, সুলেখাদি তাকে গান শিখিয়েছে অনেক ধৈর্য নিয়ে। গানের স্কুলেক চাকরী ছাড়াতে সুলেখাদিরও মত ছিল। সাবিত্রীও সময় পেয়েছিল গানের রেওয়ার্জ করতে। দেখেছিল মাঝে মাঝে সুলেখাদির এখানে কাজলবাবুও আসেন। সাবিত্রী সাবধানে ওই লোকটিকে এড়িয়ে গেছে। সেই অপমান অবহেলাটা ভোলে নি। সাবিত্রী। কাজলবাবু ওঘর থেকে তার রেওয়াজ শুনেছেন। সুলেখাদি আর কাজলবাবু বের তয়ে গেছেন কোথায অনুষ্ঠান করতে। SO