পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে--দামী শাড়ি আর ওই বাহারের ব্রাউজ পরে রূপচটক দেখিয়ে কাজ। সারবে उठी शद नों। অন্য একজন কালো লম্বা সিটিকে মেয়ে গলা তুলে জানায় সামনের মেয়েটাকে । —সরে আসুন আপনি ? এতো উঁট দেখানোর মানে কি? আমরাও দাঁড়িয়ে আছি। ছেলেদের মধ্যে অনেকেই যেন বিনা পয়সায় মজা দেখছে। কোন ছেলে মন্তব্য করে সরস কণ্ঠে। " —চালিয়ে যান দিদি। ছাড়বেন না। মেয়েদের কলরব উঠছে। ওদিকে। কোন ছেলে গলা তুলে আওয়াজ দেয়-হেল্প করতে হবে নাকি? যাবো ? অমৃতও দেখেছে ব্যাপারটা। ওপাশের মেয়েটির বােধহয় জরুরী দরকার আছে। কি বলেছে সে। কিন্তু মেয়েদের মধ্যে ওই সমবেদনার অভাবটা বেশী বলেই মনে হয়। ওই মেয়েটির চেহারায় পোশাক-আশাকে একটা মার্জিত রুচির ছাপ ফুটে উঠেছে। মেয়েটা সমবেতভাবে তাকে নানা কথা শোনাচ্ছে। ওই লাইনে দাঁড়ানো মেয়েদের অনেকের তুলনায় ওর চেহারায় একটি শ্রী আর আভিজাত্যের হয়তো কিছুটা রয়ে গেছে এখনও। ওই মেয়েদের কোলাহলে সে কান দেয় না। কার্ডাখানা রিনিউ করে ওদের দিকে না চেয়ে বের হয়ে এল সেই মেয়েটি। পিছনে মেয়েদের লাইন থেকেও তখন তীক্ষা গলার শব্দ ওঠে। কাউন্টার ক্লার্ককেই এইবার শাসাচ্ছে মেয়েরা। —সুন্দর মুখ দেখেই গলে গেলেন নাকি স্যা ? কোন নীতিবাগীশ পোড়াকাঠ-এর মত মেয়ে শোনায়। —পুরুষমাত্রেই এমনি হাংলা। লজ্জা-ঘেন্নার বালাই নেই। ছিঃ। অমৃত দেখেছে ওই মেয়েদের অনেককে। জীবনে হয়তো কিছুই পায় নি! অভাব দারিদ্র আর ব্যর্থ স্বপ্নের যন্ত্রণা নিয়ে ফিরছে তারা। চারিদিকে দেখেছে সেই কাঠিন্যটাকেই, তাই সামান্য ব্যাপারে তারা অধৈর্য হয়ে ওঠে । অসহায় রাগে ফেটে পড়ে এমনিভাবে। অমৃতের মনে পড়ে তার বােনের কথাও। সাবিত্রীরও এখন করার কিছু নেই। বেকার। বিয়ে-থাও দিতে পারে নি। সাবিত্রীকে যেন দেখেছে সে। ওই ব্যর্থ বঞ্চিত মেয়েদের দলে। ঘরের আশ্বাস নেই, ভালোবাসা সেখানে পরিহাস, ওরা সেই পুরানো সবুজ স্নিগ্ধ জগৎ থেকে እ &