পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল। ব্যাপারটা ঠিক হয়ে গেছে হঠাৎ আজই। সুলেখাদি বের হয়ে যাবার পর ফোনটা এসেছিল। সাবিত্রীকে ডাকছে কাজল । —এখুনিই চলে এসো। একটা ফিল্মে গাইতে হবে। সাবিত্রী অবাক হয় এখুনিই আসতে হবে ? কাজল জানায়-হ্যা। আজই রিহার্সেল । সাবিত্রী তাই এসেছিল। সেদিনের রাত্রির অনুষ্ঠানের স্মৃতি সাবিত্রীর মন থেকে মুছে যায় নি। একটু মিষ্টি সুরের আমেজে মন ভরিয়ে তোলে। সাবিত্রী আজ নতুন করে চিনেছে। তাই কাজলকে বলে—এখনও বদলাও নি তুমি ? কাজল বলে । —তুমি কিন্তু একেবারে বদলে গেছ! ধাপে ধাপে উপরে উঠতে হলে পিছনের দিনগুলোকে ভুলে যেতে হবে সাবিত্রী, হয়তো স্বার্থপর হতে হবে। নিজেকে কিছু পেতে গেলে আশপাশের অনেককে আঘাতও দিতে হবে। তাই শিল্পীরা হয়তো বেশী স্বার্থপর-বেশী আত্মকেন্দ্রিক জীব। সাবিত্রী শুনছে। ওর কথা গুলো। তার কাছেও সুলেখাদির প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠেছে। তাই বলে। —সুলেখাদি হয়তো এখানে আসা--এই মেলামেশােটা মোটেই পছন্দ করে না। হাসে কাজল-ও তো মিডওকার শিল্পী । ওর শিল্পমন যত আঘাত পাবে ততই স্বার্থপর হয়ে উঠবে। কাজল ওকে কাছে টেনে নেয় । ওর স্পর্শে সাবিত্রীর সারা মন কি অজানা সুরের নেশায় মেতে ওঠে। অণুপরমাণুতে জাগে কি আলোড়ন। সাবিত্রী স্বপ্ন দেখছে-ওই স্বপ্নের বর্ণালীর গহনে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে।--তলিয়ে যাচ্ছে সে স্বর্ণসন্ধ্যার তারাজুল আঁধারে। কোথায় যেন একটা প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ল। ঝড়ো হাওযার দাপটে দরজাটা আছড়ে পড়ে। কাজলবাবুও অবাক হয়। সামনে কাকে দেখে। অবাক হয় সাবিত্রী। SQ R