পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রী আজ প্রতিষ্ঠা পেয়ে-নাম যশ পেয়েও এভাবে সরে আসবে কাজল এটাকে সহ্য করতে পারে নি। তারও মনে কোথায় পাপ আর লোভ। বাসা বেঁধে ছিল, আজ কাজল তার জন্য অনুতপ্ত। তাই এসেছে সাবিত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে । ওকে নিজের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে | এ বাড়িটা বদলায় নি। বরং আরও জীর্ণ হয়ে গেছে! চুণ পলেস্তারা খসে গেছে। কড়া নাড়তে সাবিত্রী এসে দরজা খুলে কাজলকে দেখে চমকে ওঠে। -! কাজল ও কে দেখছে। উস্কো-খুস্কো চেহারা। মলিন বিবর্ণ চাহনি। এ-যেন অন্য একটি মেয়ে। কাজল বলে । --কি ব্যাপার? শরীর খারাপ নাকি? মােসীমা মেসোেমশাই অমৃত ওরা কোথায় ? সুধাময়ী কার গলার স্বর শুনে এসেছে। ও অবাক হয়। কান্না ভিজে স্বরে বলে ওঠে। -এতদিন পর এলে বাবা ? সব যে আমার ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল! কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সুধাময়ী। কাজল মােসীমার ওই থানপরা বিবর্ণ মূর্তির দিকে চেয়ে চমকে উঠেছে। অনেকদিন পর সে সাজানো জগত থেকে কি বেদনার্ত মাটির পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। সাবিত্রী আজ অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে। ওই কাজলের সামনে। নিজেরই লজ্জা করে-কোথায় সেও অতি বড় কাঙ্গাল হয়ে উঠেছিল। दांडाळिं दळीं । —দোষ আমারও ছিল সাবিত্রী। একটা সত্যি কথা আমিও ভুলেছিলাম। শিল্পীর নিজের জীবন আর শিল্পীজীবন দুটাের অস্তিত্ব এক নয়। সাবিত্রীও সেটা জেনেছে। সে নিজের চাওয়া পাওয়ার হিসাব করতে গিয়েই ভুল করেছিল। সামান্য অবস্থা থেকে সে উঠেছিল, ওই শিল্পীর সম্মান নিয়েই সুখী হতে পারতো। C河北 তা না হয়ে ভালোবেসে স্বার্থপরের মত একটি মানুষকে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। আজ সেই ভুলটা বুঝেছে সে। >@、