পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহু বেদনান্য নীল দিনগুলোর আড়ালে কবে তার মনে এসেছি৭ে একটি আবেশ, সেই কথা আজও ক্ষণিকের জন্য স্মরণ করে সাবিত্রী। কাজল আজি অনেক উপবে। হয়তো তাকে ভুলে গেছে। কোথায় একটা গানের আসরে কাজল গাইছিল, সাবিত্রীর খুব ইচ্ছে হয়েছিল গান শুনতে। তাকে দেখতে যাবে। কিন্তু টিকিটের দাম যোগাবার পয়সা তার ছিল না। তাই পথের ধারেই দাঁড়িয়ে ফিবে এসেছিল। ওরা অনেক দূরের মানুষ । সাবিস্ত্রীর কাছে সব স্বপ্ন ভালোবাসার সুর বিষগ্নতায় ভরে উঠেছে। আজ তার নিজের খরচ চালাবার জন্য একটা সেলাই আব্ব গানের স্কুলে এই আধা বিশ্নগিরির কাজ নিতে হয়েছে। তবু এই থেকে নিজের সামান্য সখসাধও কোনমতে মেটাতে পারে। দু’একদিন সিনেমাও দেখে। দায়ে-আদায়ে সংসারে রেশন বাজারেও কিছু দিতে পারে। প্রথম প্রথম নিজের খারাপ লাগতো। হাজার হোক কাজটা খুব সম্মানের নয়। বিশেষ করে দু’চারজন ছাত্রী আছে তারা তো ওকে যেন ঝি বলেই ভাবে। এই অবজ্ঞাটা সহ্য করতে পাবতে न ! {¢ï Ý: (फ्रेट् ! রূপ সাবিত্রীরও আছে, তবে গরীব (সে। জানে তাকে এখানে কাজ করে নিজের দিন চালাতে হয়। আর সেই ভাবনাটাই তব মনে যে ক্লিষ্ট ভাবনা আনে তারই মালিন্য কিছুটা ফুটে উঠেছে তার মুখে। সেই রূপ-যৌবনের দীপ্তিকে শণ-পালিশ দিযে ওদের মত উদগ্র করে তোলার সাধ্য তার নেই। – – -সাবিত্রী। ছোেটদিদিমণি সূলেখা তাকে ৬াকছে। ওদিকের ঘরে গানের ক্লাশ বসেছে। নীচেধ ঘর থেকে সেলাইকলের মৃদু একটানা কৰ্কশ শব্দটা ওঠে। ওই গানের সুবে সঙ্গে সেলাইকলের শব্দটাকে মাঝে মাঝে তুলনা করেছে সাবিত্রী! তাতে মনে হয়েছে ওই সেলাইকলের শব্দটা যেন একটা আর্তনাদ । ওখানে যারা কাজ শিখ৩ে আসে তাদের অনেকেরই মুখে ফুটে উঠেছে অভাব দৈণ্যের ছায়া, শুধু বঁাচার তাগিদেই এসেছে এখানে সেলাই শিখে তৰু কিছু আসবে। আর গানের স্কুলের মেয়েদের তাদের তুলনায় অনেক সুন্দরী - প্রাণ-উছল বলেই মনে হয়। এরা অনেক সুখী । \Ο