পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন সেটা বিবর্ণ, অক্ষরগুলো ঠিক বোঝা যায় না। দূর থেকে। দু-একটা প্লাস্টিকের টাইপ খুলে গেছে। চুণবালি খসা বিবর্ণ দেওয়ালে ওই নেমপ্লেটটা লাগানো আছে কোনমতে। পাশে একটা লেটারবক্স, তারও তেমনি দৈন্যদশা । আর কলিংবেল রয়েছে। কিন্তু সেটা বোধহয় বাজে না, কানেকশন নেই। সব ছত্রভঙ্গ অবস্থা। অমৃত খুঁজে খুঁজে। সন্ধ্যার পর এদিকে এসে এখানে ঠেক খেয়েছে। ছাত্র পড়াতেই এসেছিল। ওদিকেই তার ছাত্রের বাড়ি। কিন্তু ছাত্র আজ কোন আত্মীয়ের ওখানে গেছে।--তাই অবসর মিলেছে অমৃতের। বেলটা টিপেও কোন সাড়া মেলে না। ওটা বোধহয় অচল হয়ে গেছে। শেষকালে সনাতনী ডাকের পস্থা কড়া নাড়ানো, তাই শুরু করতে কে যেন ভিতর থেকে এগিয়ে আসছে বলে বোধ হয়। অমৃত একটু থামালো। দরজাটা খুলেছেন লম্বা সিটিকে মত এক ভদ্রলোক। এককালে হয়তো স্বাস্থ্য ভালোই ছিল, এখন শুকিয়ে চিমড়ে হয়ে গেছে। গাল দুটাে তোবড়ানো। চোখে-মুখে কালচে একটু আভাস। শীর্ণ মুখে বড় একটা চুরুট ধরানো, ওর গায়ে একটা ড্রেসিং গাউন । তার আসল রংটা এখন বোঝার উপায় নেই। কালচে বিবর্ণ হয়ে গেছে সেটা । চুরুটের চিমসে গন্ধ ওঠে। ভদ্রলোক অমৃতকে তীক্ষ সন্ধানী দৃষ্টিতে আপাদমস্তক দেখছেন, অমৃত্যুও ঘাবড়ে গেছে একটু ওই চাহনির সামনে । এখানে আসতে ঠিক চায় নি। এই পথ দিয়েই যাচ্ছিল, হঠাৎ নম্বরটা দেখে দোতলার এই ফ্ল্যাটে উঠে এসেছে সে। মাত্র কদিনের মুখচেনা ওই মেয়েটি, আর যে পরিচয় হয়েছিল পথে ওই ঘটনার মাধ্যমে তার জের টেনে এখানে আসাটায় বিশেষত কোন জোরদার মুক্তি খুঁজে পায় না অমৃত। তবু শুধোয় অমৃত। ---এটা তিন নম্বর ফ্ল্যাট ? ওর প্রশ্নে একটু কড়াস্বরে ভদ্রলোক শুধোন। —হােঁয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? ভদ্রলোক ইংরাজীতেই কথা বলায় অভ্যস্ত তাই দেখাতে চান। অমৃত সেই ইতিউতি ভাবটা কাটিয়ে জানায় । —এখানে রাত্রি---মিস রাত্রি চৌধুরী থাকেন, তার সঙ্গে একটু দরকার ছিল। 6न् उिन्नििशे ऐश्रेष्ठं द्रव्लष्ट्रेिनतन् ! SG