পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রী মনে মনে খুশী হয়েছে। এমনি একটা পথ সে চাইছিল। আজ সেই সুযোগটা সহজেই এসেছে। এটা গ্রহণ করবে। সে। তবু একটু ভেবে দেখতে চায়। সুলেখাদির গানের বাজারে সুনাম আছে। সাবিত্রীও সেটা জানে। সুলেখা সাবিত্রীকে ভাবতে দেখে বলে-বেশ তো। তবে নিজের দিকটাও ভেবে দেখে | বাড়তি টাকাও পাবে সাবিত্রী সেটা জানে। তাই বলে সে। --দু'একদিনের মধ্যেই জানাবো আপনাকে। সাবিত্রী কি ভাবছে। একটা পথ তাকে খুঁজে নিতেই হবে। এভাবে ওই এদে বাড়িটার মধ্যে পড়ে পড়ে সে নিজের জীবনকে ব্যর্থ করে দিতে চায় না। এতোদিনের সেই নিরীহ মেয়েটি এইবার কি কাঠিন্য নিয়ে জেগে উঠেছে। তার নিজের পথ খুঁজে পেয়েছে সে। টিনের বাড়ির মানুষগুলোর অভাবের সংসারে হঠাৎ যেন একটু স্বাচ্ছল্যের আভাষ জাগে। বাসস্তবাবু স্ত্রীর কথাতেই পটলের চাকরীটা নিয়েছেন। তার মত ছিল না, বয়স হয়েছে-বিশ্রাম চান। তিনি। কিন্তু কোনদিনই সেটা জোটে নি। তার। তাই আজীবন এইভাবে খেটে চলেছেন। সকালবেলায় কোনরকমে ভাত খেয়ে বের হতে হয়, ফেরেন সন্ধ্যাবেলায় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে। কোনদিন রাত্রি হয়ে যায়। সুধাময়ী ওর পথ চেয়ে থাকে। ফিরতেই শুধোয়। -এত দেরী হ’ল ? বসন্তবাবুকে পটল ভালো চোখেই দেখে, তাই দেরী হলে কোম্পানীর গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়ে যায়। বাসস্তবাবু বলেন সুধাময়ীকে। —কাজে আটকে পড়েছিলাম। সুধাময়ী মাসের শেষে টাকাগুলো হাত পেতে নেয়। বেশ কিছু টাকা। স্কুলের মাইনের চেয়েও বেশী। ওর মুখে ফুটে ওঠে তৃপ্তির ছায়া। Գ Հ