পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তবাবু সেটা বুঝতে পারেন। তবু মনে হয় তার অক্লান্ত পরিশ্রমে তবু এদের মুখে হাসি ফুটেছে। দিনাস্তে চাল ডালের সমস্যাটা মিটেছে। —অমৃত ফেরে নি ? বাসস্তবাবু শুধোন। ইদানীং অমৃতের কাজও বেড়েছে। বাবার টুইশানিগুলোও তাকে দেখতে হয়। সেও কিছু বেশী রোজগার করে। সুধাময়ী জানায়-অমৃত ছাত্রবাড়ি গেছে। ভাবনা ওই অশোককে নিয়ে। ইদানীং কলেজ ছেড়েছে সে পাকাপাকি ভাবে। দিনরাত মিটিং, পথের ধারে জমায়েত আর নানা কাজ নিয়ে থাকে। বসন্তবাবু বলেন। --অশোককে নিয়েই ভাবনা বড় বেশি, পড়াশোনাও করলো না, দিনরাত দলবাজী আর হৈ চৈ নিয়ে আছে। চারিদিকেই শুনি গোলমালের খবর, ওকে বুঝিয়ে বলো— সুধাময়ী বলে। -ওসব বলা কওয়ার বাইরে সে। যা ভালো বোঝে করুক ! বসন্তবাবু চুপ করে কি ভাবছেন, ইদানীং দেখেছেন বাইরে বের হয়ে একটা অশাস্তি যেন দানা বেঁধে উঠছে। রাস্তার এদিকে ওদিকে দু’একটা ঘটনা ঘটে। মতামত রাজনীতির লড়াই যেন সমাজের বুকে শক্ত থাকাটাকে গেড়েছে। তারাও রাজনীতি করেছিলেন অতীতে। সে দিনের সঙ্গে আজকের মানুষের কোনো মিল নেই। কি নিদারুণ ব্যর্থতার আক্রোশে এরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুধাময়ীও কথাটা ভেবেছে। অশোক সম্বন্ধে তার ভাবনা-চিন্তা সব ফুরিয়ে গেছে। সাবিত্রীর কথাই ভাবে সুধাময়ী, তাই বলে। --মেয়ের বিয়ে-থা’র ব্যবস্থা দ্যাখো । বসন্তবাবুও কথাটা ভাবেন। কিন্তু দু'এক জায়গায় কথা বলে যেটা জেনেছেন সেটা অত্যন্ত বিষাদের তাই স্ত্রীর কথায় বলেন তিনি। -সে তো অনেক টাকার ব্যাপার। —তবু তো একটা পথ বের করতে হবে ? সুধাময়ী জানায়। সাবিত্রী বাড়ি ঢুকে মায়ের কথাগুলো শুনেছে। ԳV9