পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজ তার নিজের পথ সে নিজেই খুঁজে নেবে। সুলেখাদির কাছেই থাকবে গান শিখবে। কি একটা জেদ তাকে পেয়ে বসেছে। ওই বিয়ে-থায়ের নামে নিজেকে হত্যা করতে সে পারবে না। একটা মতলবও বের করেছে। সে { মা সাবিত্রীকে দেখে মুখ তুলে চাইল। --ফিরলি ? সাবিত্রী জানায়-সুলেখাদির বাড়িতে থাকতে হবে মা। উনিই আমাকে গান শেখাবেন। আর লেখাপড়া করে সরকার থেকে গান শেখার জন্য একটা স্কলারশিপও পাইয়ে দেবেন। তিনি। বসস্তবাবু মেয়ের দিকে চাইলেন। তিনি নিজে পেনসনের জন্য ঘুরে ঘুরে জুতোর শুকতলা খুইয়ে ফেলেছেন। তবু কিছু সুরাহা হয় নি। তাই বলেন। --স্কলারশিপ দেবে ওরা ? সাবিত্রী নিজের জন্য আজ মিথ্যা কথাটাই জানায়। —হয়ে যাবে বাবা। কিছু টাকা পাব। বসে বসে নিজেকে নষ্ট করি কেন ? তবু একটা কাজের মধ্যে থাকবো । বাসস্তবাবু চুপ করে থাকেন। সাবিত্রী শোনায়-সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি চলে আসবো। তবু একটু নিশ্চিন্ত হয় সুধাময়ী। এই সংসারের সব মানুষগুলোই নিজের কথা ভাবে। আর ওই অশোক! কারো কথা ও ভাবে না-নিজের কথাও নয়। অমৃত বাড়ি ফিরে সাবিত্রীর খবর শুনে বলে। ---এতো ভালো কথা রে। লেগে পড়। --বসস্তবাবু যেন ওদের কাছ থেকে সরে সরে যাচ্ছেন। তবু সংসারের প্রয়োজনে র্তাকে চাকরীটিা করতে হচ্ছে। সুধাময়ীর অনেক আশা। মেয়ের বিয়ে দেবে। তারপর নিজেদের জন্যে একটু মাথা গোঁজার ঠাই করবে। আর বসন্তবাবুকে একটা কাজ করতে হবে। ছাত্র পটলকে ধরে করে যে ভাবে হােক অমৃতের একটা চাকরী করে নিতে হবে। Գ 8