পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাই যেন ওরা সকলে মিলে ঠেলে পাঠাচ্ছে বাসস্তবাবুকে চাকরী করতে। বসন্তবাবু কিছুদিন চাকরী করার পর বুঝতে পারেন পটলের রহস্যজনক কারবারের কিছুটা। তিনিও যেন এইসব গোলকধাঁধার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। ভাবতেও ভয় হয় বৃদ্ধের। তার এসব আন্দেী ভালো লাগে না। পটলের ওখানে কাজ করেন। সত্যি, কিন্তু এখনও টের পান নি পটলের আসল ব্যবসা কি ? দেখেছেন বোম্বাই থেকে সোনার ছিল আসে, মিণ্টে সেই সব সোনা জমা দিয়ে ওরা মিন্টের ছাপমারা সোনার বাট নিয়ে আসে। এছাড়াও অনেক লোকজন আসে গাড়ি হাঁকিয়ে। ওপাশের বন্ধ ঘরটায়। পটলবাবু বসে, ঘরটায় এয়ারকুলার লাগানো। গ্রীষ্মকালেও সেখানে বেশ ঠাণ্ডা। ওই বদ্ধ ঘরে বসে হয়তো অনেক পরিকল্পনা হয়। --মাস্টারমশাইকো বোলাও । বাসস্তবাবুকে এসে বেয়ারা খবর দেয়-সাহেব ডাকছেন । বসন্তবাবুর বিশ্রী লাগে এটা। দেখেছেন তিনি বাইরের ওই বিদেশী অন্য লোকদের সামনে তাকে বসতেও বলে না। পটল। সেখানে প্রভু-ভূত্যের সম্পর্কটা গড়ে তুলেছে। বাসস্তবাবুকে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পটল যেন ইচ্ছে করেই বুড়ো মানুষটাকে কষ্ট দিয়ে সে নিজের প্রাধান্যের কথা জানাতে চায়। পটল বলে—এর সঙ্গে একবার যান। কিছু জিনিসপত্র আসবে, সেগুলো এনে উনি যেখানে বলবেন পৌঁছে দিয়ে আসবেন । —এখুনিই যেতে হবে ? বসন্তবাবুর কাছে এইসব কাজগুলো কেমন সন্দেহজনক ঠেকে। পটলও সেটা ক্রমশ বুঝতে পারে। তাই অভয় দেবার জন্য বলে। -- বইপত্র কিছু আসবে। অন্য কিছু নয়। যান। পটলের কথায় কি যেন ইঙ্গিত ফুটে ওঠে। বসন্তবাবু গাড়িতে বের হলেন মোটা গোয়ানিজ সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে । বসন্তবাবুও দেখেছিলেন ওই বিদেশী লোকটিকে পটল বেশ কিছু টাকার নোট Գ (;