পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-----এই সো, কি যেন নাম হ্যা, সাবিত্রী। কাজল বলে ওকে } সরল্যাদিও রয়েছে কাজলবাবুর সঙ্গে। সে উঠে আসছিল, তাকে খাতির করে সঙ্গে আনে আজকাল! সাবিত্রী কাজলবাবুর কথায় ওর দিকে চাইল ওই কথাগুলো KAN কাজলবাবু বলে হালকা স্বরে। ——সেদিন হঠাৎ দমকা রেডিওতে গাইলে শুনলাম। ওর কথায় দাঁড়ালো সাবিত্রী। সরদ দি খুশী হয়। বলে-এখানেই গান শিখছে। কাজল বলে—একটু গাইতে শিখেই ডাঁট হয়ে গেল। সাবিত্রী দেখছে কাজলবাবুকে । ও সেই বকশিষ্যের পয়সা ফেরৎ দেবার দিন থেকেই তার সঙ্গে কেমন উল্টো ব্যবহার শুরু করেছে। তাতে ফুটে উঠেছে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ আর বিদ্রুপের আভাস। হয়তো কোনো রাগ না হয় ব্যর্থতা থেকেই ওই জ্বালাটা ফুটে উঠেছে। সাবিত্রী বলে—কোথায় আর শিখলাম, বলুন ? কাজলবাবু বলে—শিখছে কতোদিন ? এর আগে গান-টান গাইতে নাকি? সাবিত্রীর মুখের ডগে জবাবটা এসে গেছিল। মনে হয়। হাটে হাঁড়িই ভেঙে বসবে সে। ওই গুণমুগ্ধ স্তাবক দলের সামনে সাবিত্রী ওই কাজলবাবুর অতীতের সেই দিনগুলোর কথাই প্রকাশ করবে। কাজলবাবুও ওই ঝাঝালো স্বরে কথাটা বলে ওর মুখ-চােখে ফুটে ওঠা কঠিন্য দেখে একটু ঘাবড়ে গেছে। সাবিত্রী চুপ করে কি ভাবছে। মনে হয় এতটা বলা ঠিক হয় নি। ও জানে সাবিত্রীকে। একটা জায়গায় ওর স্বাতন্ত্র্য আছে। তেজ আছে। এত অভাবের মধ্যেও সে তার কাছে আসে নি, কোনো সাহায্য চায় নি। * সাবিত্রী জবাব দিল না। চুপ করে রইল। সে ওর কথাগুলোয় মনে মনে জ্বলে উঠেছে। কাজলবাবু দয়ার সুরে মন্তব্য করে-- এখন থেকেই যেন অহং ভাব না। আসে। শিল্পী হতে গেলে সহজ হতে হবে। SG