পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনুষ্যত্ব লাভ ' নিগ্রোদের আবার বাবা কি? আমরা কি মানুষ? আমাদের কারো বাবা নেই, ছিল না, হবেও না। হ্যা, তােমার বয়স হয়েছে, তুমি সুখী হও সেটাই আমি চাই, কিন্তু কে তােমার বাবা সে কথা ত মনে নেই। লােকে বলে শরীরের ক্ষুধা আছে, সে কথাটা অতীব মিথ্যা কথা। পেটের ক্ষুধা যারা মিটাতে পারে না, তাদের আবার শরীরের ক্ষুধা কি। লিন্ক নিগ্রোদের স্বাধীন করে দিয়েছেন কিন্তু লিন্ক জানতেন না। স্বাধীনতা কাকে বলে? পূর্বে আমরা এক মনিবের কথা মত চলতায়, এখন আমাদের হাজারো মনিব। যার ডলার আছে আমরা তারই দাস। শুধু দাস নই দাসের চেয়েও খারাপ। কি জানি কি বলতে যাচ্ছিলাম। হাঁ হয়েছে, কে তােমার বাবা” এসব কথা আর কখনও জিজ্ঞাসা কর না। এসব কথা আমাদের আলােচ্য বিষয় নয়। যদি আমাদের চেতনা থাকত, অনুভব করবার মত শক্তি থাকত, আমরা অনেক কথার জবাব দিতে পারতাম। মনে রাখি, চেতনা নামে একটি অভিজ্ঞতা আছে, তারই সাহায্যে নাকি অনেক কথা বলতে পার। যায়। এই যে দেখছিস আমার মাথায় হাজারাে গণ্ডা উকুন দংশন করে, কই কখন ও ত টের পাই না। আমাদের মনিবের স্ত্রীর মাথায় যদি একটি উকুন হয় তবেই ত বিপদ। কর্তা মহাশয়ের কি বসবার উপায় থাকে? তার চেতনা আছে, চেতনা জানিয়ে দেয় উকুনের কথা। এই ত এখন ক্ষেতে যাব, কখন ফেয়ব ঠিকানা নেই। ঘরে এসে খাবার দেব না উকুন বাছব বলত? হ্যা, খবরদার আর যেন এসব কথা না শুনি, বুঝলি? মা চলে যাচ্ছিলেন, আমারও কাজে যাবার কথা ছিল কিন্তু ঘর হতে বের হবার পূর্বে মা বললেন “তুই ঘরে থাক, সকালে বৃষ্টি হল না, দশটায় বৃষ্টি হবেই, বাইরের তুলার ঝাকা কটা ঘরে এনে রাখিস।