১১৮ আমেরিকার নিগ্রো এক একতলা বাড়ীতে একজন প্রফেসরের লেকচার শুনবার জন্য ছদ্মবেশে উইলী উপস্থিত হল। প্রফেসরের লেকচার শুনবার জন্য যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে অনেক নিগ্রোও ছিল। নিগ্রোর চেয়ারে বসেছিল। শ্বেতকায়রা কোন আপত্তি করছিল না। প্রফেসরের লেকচারে বিষয় ছিল “দুনিয়ার মজুর এক হও, কারখানার মালিক নিজে হও।” এক ঘণ্টারও বেশি লেকচার দেবার পর অনেকগুলি শ্বেতকায় বয় কাফি ভর্তি পেয়ালা নিয়ে অন্যান্যদের যেমন দিচ্ছিল তেমন দিচ্ছিল নিগ্রোদের। ঘরটাতে বর্ণবৈষম্যের নাম গন্ধও ছিল না। দৃশ্যটি দেখে উইলীর প্রাণে এক অপূর্ব পরিবর্তন ঘটল। সে ভাবছিল, কমিউনিষ্টদের মধ্যেও বােধহয় সাদায় কালােয় পার্থক্য থাকে। কমিউনিষ্ট পার্টি তার পরিচালিত নিগ্রো পত্রিকা পরিচালনা করতে অস্বীকার করতে এই ধারণা জাগ্রত হবার যথেষ্ট কারণ ছিল। সভার শেষে যে কয়েকজন নিগ্রো সভাতে যোগ দিয়েছিল তারই একজনের সংগে পরিচিত হবার জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিল। নিকলসন্ নামে এক নিগ্রো ভদ্রলােক একটি লেকচার দিয়েছিলেন, তার লেকচার অনেকেই প্রশংসা করেছিল। তিনি বের হয়ে আসার পর উইলী তার সংগে পরিচিত হল এবং কিছু খেতে নিমন্ত্রণ করল। নিকলসন উইলীর নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন না। নিকটস্থ নিগ্রো রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করলেন। নিকলসনের হাতে একখানা নিগ্রো পত্রিকা ছিল। উইলী সেই পত্রিকা সম্বন্ধে মন্তব্য করে বললে, এতে কি সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানাে হয় না? নিগ্রো পত্রিকা মােটেই সাম্প্রদায়িক নয়, যা ঘটছে তাই লিখছে ২।