পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ আমেরিকার নিগ্রো তাই লিখব। চিন্তা অনুযায়ী কাজ করে বিয়ারিং চিঠি পােষ্ট বক্সে ফেলে দিয়ে আসলাম। আমার ঠিকানা দিলাম না। আমেরিকার লােক নামের জন্য উন্মত্ত। টাকা চায় না বলা চলে । যেমন নাম চায় তেমনি টাকাও চায়। আমার নামের মােহ ছিল না। টাকারও বিশেষ প্রত্যাশী ছিলাম না। আমি হলাম বর্ডার লাইনার। নিগ্রোও নই আবার শ্বেতকায়ও নই। দুর্ভাগা যদি পৃথিবীতে কেউ থাকে তবে আমরা। আমাদের টাকার দরকার হয় কিন্তু যাদের ভবিষ্যৎ বলতে কিছু নেই। আমাদের উচ্ছঙ্খল জীবনই কাটে। সেলসম্যানের কাজ হতে বরখাস্ত হবার সময় মার খাবার পর থেকে, উচ্ছলতা চলে গিয়েছিল। ধীরে সুস্থিরে কাজ করার অভ্যাস হয়েছিল, কিন্তু আমেরিকান্টার কাছে পত্র লেখা অন্যায় হয়েছে মনে হল। পত্র পােষ্ট করেছি, ফিরে পাবার উপায় নাই, যদি পথের পাশের পােষ্টবক্স ভেঙ্গে ফেলি তবেই ভুল শােধরাতে পারে। তা করার অধিকার আমার নাই। রাষ্ট্র বিপ্লবের সময়ই শুধু পােষ্ট আপিসের উপর অত্যাচার করা চলে, অন্যথায় কোন মতেই পােষ্ট বক্স নষ্ট করা চলে না। পােষ্ট বক্স হতে চিঠি না আনলে হয়ত বিপদ আসতে পারে, মৃত্যুও হতে পারে। হউক মৃত্যু, আসুক বিপদ, তা বলে কি সমাজের বিরুদ্ধাচরণ করা চলে! রাত তিনটার সময় ঘরে ফিরে এলাম। খুকী তখন ঘুমােচ্ছিল। আমাকে দেখেই মা জিজ্ঞাসা করলেন, এমন ত কিছু ঘটেনি, তােমার ফিরে আসার কারণ কি? মায়ের কাছে সকল কথা খুলে বললাম। তিনি আশ্বাস দিয়ে বললেন, এতে কি হতে পারে? যা করেছ ভালই হয়েছে, এখন মেয়েটাকে তার মায়ের কাছে পৌছাতে পারলেই হল। • সে কথাই ভাবছি মা, আমরা হলাম নিগ্রো। আমেরিকানরা কি