পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৫ জুফে ডেকে আনব। এখন একে যেতে দেন। মাকে একবার পরীক্ষা করা চাই। তবে আজ নয় কয়েক দিন পরে। | এনীকে ছেড়ে দেওয়া হল। এতনী সােজ। ঘরে গিয়ে দেখলে তার বােনটা মাতাল হয়ে শুয়ে আছে। কখন কখন হাঁ হুতাশ করছে। তার গাউনটা রক্তে ভর্তি হয়ে রয়েছে। বলার মত কিছুই ছিল না। এই ধরণের ঘটনা সর্বদা ঘটে। কে কার সংবাদ রাখে? তাড়াতাড়ি করে এনী জুফ্রেব বাড়ির দিকে চলল। পথে উইলীর সংগে দেখা। উইলীকে দেখা মাত্র এন্তনীর রাগ হল। এতনী রাগ করে বললে, “তুমি একটি শয়তান উইলী, অনেক দিন হয় বলছি একটি সেক্সোলজী সাপ্তাহিক বের কর ; তােমার তাতে বাধে, কিন্তু তুমি জান না এতে কত উপকার হত। ধষিতা স্ত্রীলােকের ছেলেদেরই মরালিটি জ্ঞান বেশী। আমার ঘরে গিয়ে দেখে এস, বােনটার কি অবস্থা। এসব কথাই সেক্সোলজী সাপ্তাহিকে ছাপালে পৃথিবীর লােক স্তম্ভিত হত। তুমি কোন দিকে যাবে এখন? ভেবে পাচ্ছিনা কোন দিকে যাব, তােমার সংগেই যাব। উভয়ে জুরে বাড়ি গেল। জুফ্রে এক খানা লগ, কেবিনে থাকত। কেবিন বেশ বড়। বার স্কোয়ার ফুট ত হবেই। দুখানা রুম। এক রুমে থাকে অন্য রুমে রান্না করে। সামনের দরজাটা বেশ শক্ত। টোকা দিলে ভেতর থেকে সারা পাওয়া যায় না। বেশ আঘাত করতে হয়। জুফ্রে বসার ঘরেই ছিল। মােমবাতির আলােতে কি লিখছিল। খিড়কী দরজা দিয়ে এতনী এক খানা কাগজ ছুড়ে মারল। কাগজ খানা দেখেই জুফ্রে দরজা খুলে দিল। উইলীকে জফ্রে দ্বিতীয় বারে দেখল। উভয়কে বসতে দিয়ে উইলীকে জিজ্ঞাসা করল, “একে কোথা থেকে নিয়ে এনেছ মসিয়ে ?