পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F:1. আটলান্টা অনেকটা নিবারণ হয়েছিল, কারণ এদের সংখ্যা এতই বেশি যে একটাকে মারলেই দশটা মিলে চিৎকার আরম্ভ করে দেয়। ব্যাটারা চুপচাপ করে মরতেও জানে না। এই দুঃখেই আটলান্টার শ্বেতকায়রা বিমর্ষ হয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিল। আটলান্টা সহরে নবাগত নিগ্রোরা পুলিশের দৃষ্টি এড়াবার জন্য সব সময়ই চেষ্টা করে। পুলিশ মনে করে, যদি গ্রাম ছেড়ে নিগ্রোর। সহরবাসী হয় তবে গ্রামের কাজ কে করবে? সেজন্যই নূতন লােকদের সহজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এদিকের নিগ্রোরাও চতুর হয়েছে। তারা বড় পথ দিয়ে সহরে প্রবেশ করে না। অপরিষ্কার গলিপথে নিগ্রোদের এলাকায় প্রবেশ করে এবং অভিনয় করে যেন পুরাতন বাসিন্দা। উইলী আগে এবং ম্যাক ও এন্তনী পেছনে চলছিল। উইলীকে দেখলে কেউ ভাবতে পারত না সে একজন অশ্বেতকায়। উইলী বড় পথ দিয়েই সহরে প্রবেশ করছিল। বেলা তখন দশটা। আকাশ পরিষ্কার। নীল আকাশের একপাশে দাঁড়িয়ে সূর্য মিষ্টি উত্তাপ বিতরণ করছিল। সারারাত না ঘুমানাের জন্যে প্রত্যেকের মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল। একটা পুলিশ উইলীর হাত ধরে জিজ্ঞাসা করলে, “এদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?” | উইলী একটু হাসলে, তারপর বললে, আমার বাড়ীতে, এরা আমার চাকর। বেশ সুন্দর জোড়া মিলিয়েছ, মিষ্টার। পােষ মানলেই হয়। পুলিশটা চোখ টিপে একটু হেসে বললে, “কেন পােষ মানকে , আলবৎ মানবে, যদি পােষ না মানে তবে আমাকে সংবাদ