১৮ অমোদ-প্রমোদ । [ २म्न अङ्क । কর । আমি তোমার মত নারকীয় নরের ভোগ্য হবার জন্ত জন্মাইনি। আমার আশা তুমি ত্যাগ কর—আমায় তুমি ইহ জন্মে পাবার ভাগ্য করনি । আমোদ । তাই কি ? তাই কি ? লীলা ! তাই কি ? লীলা ! এ কি সেই তুমি ? এই যে তুমি ভালবাসার ছল ক’রে ভুলিয়ে গেলে ! এ কি সেই তুমি ? লীলা । হ্যা—সেই আমি। ললিতার পাষণ্ড পতি তুমি, তোমার ঐ পশিব বক্ষে সেই দেবী প্রতিমার স্থান হোতে পারে ন। ভেবে, রমণী আমি—সেই অনাথিনী রমণীকে তোমার গ্রাস হ’তে রক্ষণ কোরেছি। সে স্বর্গে গেছে – তুমি নরাধম নরকে যাবে । আমোদ । উঃ ! কি ভ্রম ! পাষাণি ! তুই যে আমার চক্ষের যবনিকা ফেলে দিলি ! রূপ গর্ব্বিণি ! তোর সে সুললিত । বানী কোথা গেল ? এ কর্কশার মূর্ত্তি তুই কোথা পেলি ? পাপিরসি ! বল কেন রূপের মোহে ভুলালি ? সুখের সে প্রেম স্বপ্ন কেন ভাঙ্গলি ? কেন আমার সর্ব্বস্ব ধন ললিতাকে ভুলিয়ে দিলি ? নারীহত্যা পাপে কেন আমায় পাপী কোল্লি ? কেন আমার এ বিশাল বক্ষ চূর্ণ বিচুর্ণ কোরে দিলি ? লীলা। কেন কোল্লেম ? জগৎ সমক্ষে তোমার মত পিশাচ কে প্রকাশ কোরে দিতে কোল্লেম্ ! অগাধ প্রেমশালিনী শত সহস্ৰ কুলকামিনীকে সাবধান কোরে দিতে • কোল্লেম্ ! ওই কলঙ্কিত কালা মুখ নিয়ে—জগৎ সমক্ষে কুষ্ঠরোগীর ন্যায় তোমায় তাসস্থা যন্ত্রণ সহ করাতে কোল্লেম্ । তামোদ । কাব সাধ্য ? সবে না ! যাতনা সবে না । ললিতার
পাতা:আমোদ-প্রমোদ - অতুলকৃষ্ণ মিত্র.pdf/২৪
অবয়ব