পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 আয়ুর্বেদ-শিক্ষা শুঠ ১/২ রতি, পিপুল ১/২ রতি, মরিচ ১/২ রতি, কুচিলা ২২ তোলা, ও বিষ ৮৮ তোলা ; এই সমস্ত জলে মর্দন করিয়া রোহিতমৎস্ত পিত্ত, মহিষপিত্ত, ময়ুরূপিত্ত, শূকর পিত্ত এবং রক্তচিতার কাখ ইহাদের প্রত্যেকের দ্বারা যথাক্রমে ৭ বার ভাবনা দিবে। বট সর্ষপ প্রমাণ । সূচিকাভরণারস। সন্নিপাতজরে রোগীর চৈতন্যলোপ, শ্বাসবায়ুর শীতলতা, নাড়ীর গতির বিশৃঙ্খলতা বা গতিহীনতা এবং সর্ব্ব শরীর একেবারে শীতল বোধ হইলে, যখন অন্য কোন ঔষধে উৎকার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, তখন এই ঔষধ ডাবের জলসহ সেবন করিতে দিবে ; অৱস্থাবিশেষে তালের শাখার রস সহ ব্যবহৃত হইয়া থাকে, এক বাটীতে উপকার না হইলে, পুনরায় আর এক বটী সেবন করিতে দিবে অর্থাৎ যাবৎ নাসারান্ধের বায়ু উষ্ণভাবে প্রবাহিত ও নাড়ী উষ্ণবোধ না হইবে, তাবৎ আধা ঘণ্টা অন্তর এক এক বটী সেবন করাইবে । ঔষধের ক্রিয়া প্রকাশ পাওয়া মাত্রই রোগীর মাথায় তিলতৈল মর্দন করিয়া শীতল জলের ধারা প্রয়োগ করিতে থাকিবে ; যখন দেখিতে পাইবে যে চক্ষু রক্তবর্ণ হইয়া উঠিয়াছে, তখন শীতল জলের ধারা এবং প্রচুর শৈত্যদ্রব্য প্রয়োগ না করিলে রোগীর জীবন নষ্ট হইতে পারে । শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভিণী:দিগকে এই ঔষধ। কখনও প্রদান করিবে না । অতিসারজনিত বিকারেও ইহা ব্যবহৃত হয় । সুচিকাভরণারস। বিষ, কৃষ্ণসপৰিষ ও দারমুজ ; ইহাদের প্রত্যেকের সমভাগ এবং হিঙ্গুল সর্বসমান, একত্র জলে মর্দন করিষে ; পরে রোহিতমৎস্তপিত্ত, শূকর পিত্ত, মহিষপিত্ত, ছাগ৷পিত্ত ও ময়ুরপিত্ত, ইহাদের প্রত্যেকের দ্বারা ১ বার ভাবনা দিবে। বটী সর্ষপাকার। বৃহৎ সূচিকাভরণারস। সন্নিপাত জ্বরে ত্রিদোষের প্রকোপবশতঃ রোগীর সর্ব্বশরীর, শীতল, জ্ঞানলোপ, নাড়ীর গতির বিশৃঙ্খলতা, নাড়ীর স্বস্থান পরিাত্যাগ ও মৃদুভাবে শীতল শ্বাসবায়ু পরিত্যাগ ইত্যাদি উপসর্গ প্রকাশ পাইলে, অথবা অতীসার বা বিস্তুচিকারোগে ঐ সমস্ত লক্ষণ দৃষ্ট হইলে, এই ঔষধ সেবন করিতে দিবে। একবাটা সেবনে সুচিকাভারণের ন্যায় ক্রিয়া প্রকাশ না পাইলে, পুনরায় একবটী সেবন করাইবে, তাহাতেও ক্রিয়া প্রকাশ না হইলে, আর 'একবটী সেবন করাইবে, অনুপান-ডাবের জল। ঔষধের ক্রিয়া প্রকাশ পাইবামাত্রই সুচিকাভারণের ন্যায় পথ্যাদি প্রদান করিবে। বৃহৎ সুচিকাভরণারস। রস, গন্ধক, সীসা, অভ্র, বিষ ও কৃষ্ণ সর্পৰিব; ইহাদের প্রত্যেকে