পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্বর-চিকিৎসা । レ"> হয় এবং জ্বরের আদি ও শেষদিন নিবৃত্ত থাকে, তাহাকে তৃতীয়ক বিপর্য্যায় জম্বর কহে । চাতুর্থকজুরের লক্ষণ। যে জ্বর দুই দিন অন্তর ( জ্বরের দিন গণনা করিয়া চতুর্থািদনে ) প্রকাশ পায় অর্থাৎ স্বকারণে প্রকুপিত বাতাদি দোষ মস্তক আশ্রয় করত দ্বিতীয় দিনে কণ্ঠদেশে গমন করিয়া অহোরাত্রে অর্থাৎ তৃতীয় দিবসে হৃদয়ে গমন করে এবং চতুর্থ দিবসে হৃদয় হইতে আমাশয়ে গমন পূর্বক যে জ্ঞর উৎপাদন করে, তাহাকে চাতুর্থক জ্বর কহে। চাতুর্থকজ্বরে বায়ু ও কফের প্রধানতাই দৃষ্ট হয়, পিত্তের প্রবলতা প্রায়শঃ দৃষ্ট হয় না, বায়ুপ্রধান চাতুর্থকজরে অগ্রে মস্তকে বেদনা ও শ্লেষ্মপ্রধান চাতুর্থকজরে জ্বরের আরম্ভ কালে ঈজমান্বযে বেদন এবং পিত্ত প্রধান চাতুর্থকজরে মাধ্যদেহ অর্থাৎ কটিদেশে বেদন লক্ষিত হয় । এই জ্বর অস্তি ও মজ্জাগত ! চাতুর্থক বিপর্য্যয়জুরের লক্ষণ। যে জর দুইদিন নিরস্তর শরীরে অবস্থান করিয়া একদিন নিবৃত্ত হইয়া পুনরায় চতুর্থদিন হইতে ক্রমশঃ দুই দিন প্রকাশ পায়, তাহাকে চাতুর্থ কণিপর্য্যয় জ্বর কহে । রাসগতজ্বরের লক্ষণ । ক্ষর শরীরস্থ রসধাতু প্রাপ্ত হইলে, দেহের গুরুত, বমনভাব, অবসন্নতা, বমন, অরুচি ও চিত্তের অস্থিরতা ; এই সকল লক্ষণ প্রকাশ পায় । এই জ্বর সন্ততজািররূপে পরিণত হয় ; দোষাভেদে ইহার পৃথক পৃথক লক্ষণ বুঝিতে হইবে। রক্তগতজ্বরের লক্ষণ । জ্বর রক্তগত হইলে মুখ হইতে রক্তোদগীরণ, দাস্ত, চিত্তের ব্যাকুলতা, বমি, ভ্রম, প্রলাপ, পীড়ক ( ব্রণ বিশেষ) ও তৃষ্ণ ; এই সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই জ্বর সততজািররূপে পরিণত হয় । মাংসগতজ্বরের লক্ষণ । জর মাংসগত হইলে জঙ্ঘাস্থিত মাংসপিণ্ডে পীড়নবৎ বেদনা, তৃষ্ণা, অধিক মল ও মূত্রত্যাগ, শরীরে জ্বরের তাপ প্রকাশ, অন্তর্দাহ, হস্তপদাদির সঞ্চালন ও গ্লানি ; এই সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পায় ; এই জর অন্যেদুষ্কজােররূপে পরিণত হয়। মেদে।াগতজ্বরের লক্ষণ। জুর মেন্দােগত হইলে অতিশয় ঘর্ম্ম, পিপাসা, 直