পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা । وعبوا প্রকোপ এবং জর বিরামকালে শীত অর্থাৎ বাতশ্লেষ্মার প্রকোপ হইলে সেই জ্বর কষ্ট সাধ্য। বর্ষাকালে বাতিক, শরৎকালে পৈত্তিক ও বসন্ত ঋতুতে শ্লৈষ্মিক জ্বরকে প্রাকৃত জ্বর কহে, এবং ঋতুর বিপর্য্যয় অর্থাৎ বর্ষাকালে প্লৈাস্মিক প্রভৃতি জর হইলে, তাহাকে বৈকৃত জ্বর কহে, তাহা দুঃসাধ্য এবং বর্ষাকালে উৎপন্ন প্রাকৃত বাতজরও দুঃসাধ্য। বিষমজুরের দোষ-নিরূপণ । বিষমজরে বাতাদি দোষসমূহ তরুণ জ্বরের ন্যায় প্রবলভাবে প্রকাশিত হয়না এবং তজ্জন্য ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ সমূহও প্রকাশ পায় না, বিবিধ অহিত্যাচরণাদি দ্বারা বিষমজারে জ্বরের বেগ বৃদ্ধি হইলে, বাতাদির প্রকোপ লক্ষণ প্রকাশ পায়, কিন্তু বিষমজ্বরে সন্নিপাতজরের উপদ্রব সমূহ প্রবলভাবে প্রকাশিত হইলে, ঐ জর রোগীর প্রাণনাশক হয়, বিষমজারে বাতাদিদোষ ও লক্ষণ ঈষৎ ব্যক্তিভাবে প্রকাশিত হইলেও, বিষমজর প্রায়শঃ ত্রিদোষ জনিত, ইহা অনেকে অনেক সময় স্থির করিতে পারেন না, তজ্জন্য চিকিৎসাবিষয়ে ঔদাস্য প্রকাশ করেন, বাতাদি দোষের প্রবলতা চিকিৎসক জরারম্ভকালীন লক্ষণ দ্বারা অবগত হইবেন ; অর্থাৎ চতুর্থকজরে জ্বরারম্ভকালে মস্তকে বেদন হইলে, বায়ুর প্রাধান্য, জঙ্ঘা দ্বয়ে বেদন হইলে, কফের প্রবলতা এবং কটিদেশে বেদন হইলে, পিত্তের প্রধানতা ও তৃতীয়কজরে জরারম্ভকালে ত্রিকস্থানে বেদন। হইলে, কফপিত্ত এই দ্বিদোষের প্রধানতা ও পৃষ্ঠদেশে বেদন হইলে, বাতশ্লেষ্মার প্রবলতা বুঝিতে হইবে, এইরূপ অন্যান্য জ্বরে শ্লেষ্মা প্রবল হইলে, জঙ্ঘা দ্বয়ে বেদন জন্মাইয়া জ্বর উৎপাদন করে ও বায়ুর প্রাধান্য থাকিলে মস্তকে বেদন প্রকাশনস্তর জ্বর হয়, এই সকল বিষমজদ্বরে একদোষের প্রকোপ ও দ্বিদোষের প্রকোপ যেরূপ দৃষ্ট হয়, ত্রিদোষের প্রকোপও সেইরূপ দৃষ্ট হয়, যথা—জারের পূর্বে বাতশ্লেষ্মা দ্বারা দেহের শীতলতা এবং শীতানুভব ও অন্তে পিত্তদ্বারা দাহ অথবা জরারম্ভিকালে পিত্তদ্বারা দাহ ও জ্বর নিবৃত্তিকালে বাতশ্লেষ্মাদ্বারা শীত প্রকাশ পুাইলে, জ্বরে বায়ু, পিত্ত এবং শ্লেষ্মার একত্র প্রকোপ বুঝিতে হইবে । অতএব বিষমজ্বরে যে দোষের প্রবলতা