পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জার-চিকিৎসা । bot দৃষ্ট হইবে, সেই দোষনাশক ও রসাদি ধাতুসমতাকারক ঔষধ দ্বারা জ্বরের চিকিৎসা করিবে, দিনে ও রাত্রে জ্বরের আরম্ভ কাল দ্বারাও বাতাদি দোষের প্রবলতা অনেক স্থানে অবধারিত হয়। অর্থাৎ প্রাতঃকালে ও রাত্রির প্রথমাংশে সততক জরের বেগ প্রকাশ পাইলে, কাফোন্বন এবং সায়াহুে ও রাত্রিশেষে প্রকাশ পাইলে, বাতোম্বন সততক জ্বর বুঝিতে হইবে । রসাদিধাতুগত জরই সন্তাতক প্রভৃতি বিষমজাররূপে পরিণত হয়, যথা-রসধাতুগতজ্বর সন্ততজরে, রক্তধাতুগতজ্বর সততকজরে, মেন্দো ধাতুগতজর তৃতীয়ক জ্বরে ও মাংসগতজ্বর অন্যেদুস্ক জ্বরে ইত্যাদি। ধাতুগতজ্বরের পৃথক লক্ষণসকল বাত, পিত্ত ও শ্লেষ্মা ভেদে অবগত হইবে ; অর্থাৎ রসধাতুগত সন্ততজরে কাফের প্রবলতাবশতঃ দেহের গুরুতা ও অরুচি এবং পিত্তের প্রবলতা বশতঃ বমন ইত্যাদি। নিয়মে রক্তধাতুগত সততক জরেও বাতাদি দোষের প্রবলতা লক্ষণভেদে দৃষ্ট হয়। জরে রসের সামত ও নিরামিতার প্রতি লক্ষ্য রাখিবে । বিষম ও জীর্ণ জ্বর-চিকিৎসাবিধি ।

একাদোষজ, দ্বিদোষজ ও ত্রিদোষজ ( সান্নিপাতিক ) নবজারের চিকিৎসা হইতে বিষম ও জীর্ণ জ্বরের চিকিৎসা কঠিন, কারণ বাতাদিদোষ পৃথক বা মিলিতভাবে রসানুগামী হইয়া ঐ সমস্ত জ্বর উৎপাদন করে, রসের লঘুতা ও বাতাদি দোষের পরিপাক হইলেই জর নিবৃত্ত হয়, কিন্তু সন্তত ও সততক প্রভৃতি বিষমজরে ঈষৎ কুপিত বাতাদি দোষ, রস ও রক্তাদি ধাতুসমূহকে আশ্রয় করিয়া জ্বর উৎপাদন করে এবং শরীরস্থ রসরক্তাদির ক্ষয়বশতঃ জীর্ণজ্বরে পরিণত হয়, সুতরাং এস্থলে দোষ ও দুষ্য এই উভয়েরই প্রতীকার করা কীর্ত্তব্য । বাতিক, পৈত্তিক, শ্লৈাস্মিক এবং দ্বন্দ্বজ ও সান্ত্রিপাতিক জারসমূহ কত দিনে বিষম জ্বাররূপে পরিণত হয়, তদ্বিষয়ে বিশেষ নিয়ম লিপিবদ্ধ করা অসম্ভব, যেহেতু বাতাদির হ্রাসবৃদ্ধি অনুসারে জ্বরের হ্রাসবৃদ্ধি, নিরামত বা পকত দেখিতে পাওয়া যায় অর্থাৎ বাতজর ৭ দিনে কাহারও বা ১৪ দিনে, পিত্তজাির ১০ দিনে, শরীরবিশেষে ২০ দিনে নিবৃত্ত হয়, দ্বন্দ্বজ ও সন্নিপাতজরে দোষের পরিপাক ও জ্বরের লঘুতা, শরীরের অবস্থানুসারে আরও অনেকদিন পরে লক্ষিত হয়, অতএব “মুক্তানুবন্ধিত্বং বিষমত্বং”