পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ବ o আয়ুর্বেদ-শিক্ষা । প্রদান করিবে, রাত্রে মণ্ড বা যুষ ভক্ষণ করিতে দিবে, জ্বর অনেক রোগের সঙ্গেই প্রকাশ পায়, এরূপ স্থলে তত্তৎ রোগনাশক অথচ জর্যন্ত্র ঔষধ প্রদান করা কীর্ত্তব্য । তৃতীয় অবস্থা। বর্তমানকালে আমাদের দেশে দুৰ্জ্জলজ্জর (ম্যালেরিয়া জর ) হইতে প্রায়শঃ এই অবস্থা দৃষ্ট হয় ; যাহাই হউক জ্বরের লক্ষণদ্বারা বাতান্দিদোষের প্রবলতা নিরূপিত করিয়া তাহার প্রতীকারে চেষ্টিত হইবে । এই তৃতীয় অবস্থায় জীর্ণজর ৭/৮ মাস অথবা ১২ বৎসর কাল পর্য্যন্ত স্থায়ী হইতে দেখা যায়, ঐ অবস্থায় স্নান আহার সমস্তই সহ্যু হয় ; কেবলমাত্র জ্বরের ভোগকালে দুই চারি দিন স্নান আহার বন্ধ রাখা কর্ত্তব্য, এই সমস্ত জ্বর অনেকস্থানে জলবায়ুর পরিবর্তনে ও ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে ঔষধভিন্নও নিবৃত্ত হয়, যে সমস্ত জ্বর এইরূপ ভাবে দীর্ঘকাল পর্য্যন্ত অনিয়মিতভাবে অর্থাৎ মাসে দুই তিন দিন বা মাসের মধ্যে এক দিন উপস্থিত হয়, সেই সমস্ত জ্বর দীর্ঘকাল পরে বিবিধরোগ উৎপাদন করে এবং ঋতুবিশেষে প্রবলবেগে প্রকাশিত হইয়া রোগীর জীবন নষ্ট করিতে পারে, অতএব এই জ্বরকেও কোনও রূপে উপেক্ষা করা উচিত নহে, ঐ অবস্থায় বিবিধ উষ্ণবীর্য্য বটিকা ও কাথি সেবন বা অন্যান্য ক্রিয়াদ্বারা রোগীর রুক্ষতা উপলব্ধি হইলে কফের ক্ষীণতা বুঝিতে পরিবে, তখন দশমূলষটুপালক ঘূত প্রভৃতি রোগীকে সেবন করাইবে, রোগীর অন্নাহার যথারীতি, সহস্থ হইলে এবং অগ্নিবল প্রবল থাকিলেই স্বত সেবন ব্যবস্থোয়, বিষমজরে কফের আধিক্য এবং অগ্নির হীনতা দেখিতে পাইলে, ঘূত সেবন করাইবে না। ঘূতপানকালে রোগীর অগ্নিবল সম্বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি রাখা BLeELSDiiBB BDBBSDDD LD BDLLDLLBBD DBD BBDD DDBBS জরে ঘূত সেবন করান নিতান্ত গহিত । ঘূত সেবনের কিছুদিন পরে বাতপিত্তপ্রধান অবস্থায় বিবিধ দ্রব্যে সাধিত দুগ্ধ রোগীকে পান করাইবে । বাতপিত্তপ্রধান জীর্ণ জ্বরে শ্লেষ্মার ক্ষীণতা ও রক্তাদি ধাতুর হীনতা দৃষ্ট হইলে, বিবেচনা পূর্বক রোগীকে বিবিধ দ্রব্য সংযোগে পৰ্ক দুগ্ধ সেবন করাইবে, বায়ুর রুক্ষতাবশতঃ ও রক্তাদির হীনতা প্রযুক্ত জীর্ণ জ্বরে কাস, শ্বাস, শিরঃশূল ও শোথ প্রভৃতি উপস্থিত হয়, তন্নিবারণার্থ রোগীকে পঞ্চমূল্যাদি দ্রব্যে সাধিত দুগ্ধ সেবন করান কর্ত্তব্য, বিশেষতঃ ঐ সকল অবস্থায় নবায়সলৌহ প্রভৃতি