পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্লীহা, যকৃৎ ও উরোগ্রহ-চিকিৎসা । YWOGt যকৃন্দালুন্দিরের লক্ষণ । যকৃৎ অত্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে, উদাররোগও অত্যন্ত বৰ্দ্ধিত হয়, তখন তাহাকে যকৃন্দালুদের কহে, এই অবস্থায় হস্তপদাদি স্থানে শোথ, মূত্র ও বায়ুর রুদ্ধতা, কোষ্ঠবদ্ধতা, পাচকাগ্নির দুর্বলতা, আত্মান, দাস্ত ও তন্দ্র ইত্যাদি। উপসৰ্গ প্রকাশ পাইয়া থাকে। প্লীহা ও যকৃৎবিদ্রোধির লক্ষণ । প্লীহায় বিদ্রধি অর্থাৎ বিস্ফোটক উৎপন্ন হইলে, উচ্ছাসের অবরোধ এবং যকৃতে বিন্দ্রধি উৎপন্ন হইলে, শ্বাস ও হিক্কা উপস্থিত হয়। প্লীহা ও যকৃৎবিদ্রাধির চিকিৎসা ও পাকাপকতা এবং প্লীহা ও যকৃৎ স্থিত পূয রক্তের উৰ্দ্ধাধোগতি ভেদে সাধ্যাসাধ্য নিরুপণ প্রভুভি বিদ্রাধি চিকিৎসায় বর্ণিত হইবে। উরোগ্রহের লক্ষণ । হৃদয়ের অধোদেশে প্লীহা ও যকৃতের মধ্যস্থ অন্ত্র ও মাংস সদ্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে, উরোগ্রহ রোগ উৎপন্ন হয়। ইহা আকৃতি কচ্ছপ রা সৰ্পের ন্যায়। এই রোগে রোগীর বুক্কাগ্রস্থিত শিরাসকল তনু, কৃষ্ণ বা পীতবর্ণ লক্ষিত হয় এবং জ্বর, অরুচি, পিপাসা ও শোথ হয় । প্লীহা ও যকৃৎ-চিকিৎসা-বিধি । জরের দীর্ঘকাল অবস্থান বশতঃ ও অন্যান্য করেণে প্লীহা বা যকৃৎ বৃদ্ধি হইয়া থাকে। প্লীহা ও যকৃৎ রক্তের স্থান ; রস হৃদয় হইতে যকৃতে আগমন করিয়া রঞ্জকপিত্ত সহযোগে লোহিত বর্ণ ধারণ করে এবং রক্তনামে অভিহিত হয় । বিবিধ কফজনক ও পিত্তবৰ্দ্ধক দ্রব্য সেবন দ্বারা পাচকাগ্নি দুর্বল হওয়ায় ভুক্ত দ্রব্য উত্তমরূপে পরিপাক বা হজম হইতে পারে না, সুতরাং ঐ অবস্থায় অম্নাদিরস উৎপন্ন হয় ও শ্লেষ্মার বৃদ্ধি হয়, এই জন্যই পাচকাগ্নি দূষিত হইলে রঞ্জকপিত্তের আধার যকৃৎ ও প্লীহা উভয়ই বিকৃত হয়, অতএব প্লীহা ও যকৃৎরোগে অনায়াসে জীর্ণ হয়, এতাদৃশ অগ্নিবলবৰ্দ্ধক