পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&S\e আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা । কাসে বাতাদির আধিক্য সকল স্থানে একরূপ থাকে না, সেই জন্যই কাসে দোষ বিশেষের উপর লক্ষ্য রাখা কর্ত্তব্য ; নচেৎ চিকিৎসায় ফললাভ অসম্ভব । জ্বর, প্লীহা, যকৃৎ এবং অন্যান্য রোগের সঙ্গেও কাস বিদ্যমান থাকে, কখনও YL g uYD SBLLK DB KDDDL DBuBBD TDDDDBB BDDD KDS কখনও বা ঐ সমস্ত মূলরোগ ও কাস উভয়ই সমান ভাবে লক্ষিত হয় । যে সমস্ত রোগের সঙ্গে কাস প্রকাশ পায়, তাহদের চিকিৎসাকালে কাসের সাধারণ ঔষধ প্রয়োগ করা কীর্ত্তব্য ; কিন্তু কাস প্রবল হইলে, মুখ্যারোগের ন্যায় তাহার চিকিৎসা করিবে । ক্ষয় ও ক্ষতজকাস অতি কঠিন, সুতরাং উহাদের চিকিৎসাকালে চিকিৎসকের বিশেষ সাবধান হওয়া কর্ত্তব্য । ক্ষতিজাকাসে রোগীর কখনও ভারবহন বা পথপর্য্যটন করা কীর্ত্তব্য নহে এবং ক্ষয়কাসক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রীসহবাস, অহিতকর দ্রব্য ও বিরোচক ঔষধসেবন পরিত্যাগ সর্ব্বথা কর্ত্তব্য, যেহেতু সময়ান্তরে ক্ষয় ও ক্ষতজকাস অতি কষ্টসাধ্য হইয়া পড়ে, একারণ ঐ দুই প্রকার কাসের চিকিৎসাকালে রোগীর জ্বর, শ্বাস ও পার্থশল প্রভৃতি উপদ্রব সমূহের উপর দৃষ্টিপ্রদান করা একান্ত কর্ত্তব্য। অনেক স্থানে অন্যান্য রোগ হইতে ক্ষয়কাস উৎপন্ন হইতে দেখা যায়, তখন মুখ্যারোগের চিকিৎসার উপর লক্ষ্য রাখিয়া কাসের চিকিৎসা করা কীর্ত্তব্য । কাসরোগ অন্যান্য রোগের উপদ্রব রূপে এবং বিবিধ কারণে স্বয়ং উৎপন্ন হয় ও অত্যন্ত যন্ত্রণা প্রদান করে, সুতরাং উহাকে উপেক্ষা করা নিতান্তই মুঢ়তার কার্য্য। কাস স্বয়ং উৎপন্ন হইলে বা অন্যান্য রোগের সঙ্গে বিদ্যমান থাকিলে, কাসের অবস্থানুসারে নিম্নলিখিত ঔষধ প্রয়োগ করা কীর্ত্তব্য। শ্লৈষ্মিক কাসে অর্থাৎ কাসের বেগকালে গাঢ় শ্লেষ্মা নিৰ্গত হইলে এবং তৎসঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকিলে প্রথমতঃ কাসাস্তকর’স বা কাসকুঠার এবং অবস্থাভেদে শৃঙ্গারাত্র বা অন্যান্য ঔষধ প্রয়োগ করিবে। অনন্তর শ্লেষ্মা ক্রমশঃ পরিপাক হইয়া আসিলে এবং কাসের বেগ ও তৎসঙ্গে যাবতীয় উপসৰ্গ প্রশমিত হইলে, যথারীতি উহার চিকিৎসায় প্রবৃত্ত হইবে। কৈষ্মিক কাসে রোগীকে শীতল পানীয় ও শ্লেষ্মাবৰ্দ্ধক দ্রব্য কখনও প্রদান করা কীর্ত্তব্য নহে ।