পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস-চিকিৎসা । Sayq বাতিককাস অনেক সময় অতি প্রবল হয়, উহাতে আদৌ শ্লেষ্মা নিৰ্গত হয় না, রোগী পুনঃপুনঃ কাসের বেগ বশতঃ বক্ষঃস্থল ও পার্শ্ব বেদনায় পীড়িত হয় এবং অবস্থাবিশেষে শ্বাসের প্রকোপ দৃষ্ট হয়। এই কাস অন্য রোগের সঙ্গে বা স্বয়ং প্রকাশ পাইলে, চন্দ্রামৃতরস, অমৃতার্ণবরস, °श्शूङठन्नन । পুরন্দরবট এবং অবস্থাবিশেষে রোগ কঠিন ও শ্বাস প্রবল হইলে তরুণানন্দৱস, নিত্যেদয়ারস বা অন্যান্য বিবিধ বটিকা, চূর্ণ অথবা অবলেহ প্রয়োগ করিবে । পৈত্তিক কাসে প্রায়শঃ জ্বরাদির হ্রাসরুদ্ধি দৃষ্ট হয় ; ঐ ক্যাস অন্য রোগের সঙ্গে বা স্বয়ং উৎপন্ন হইলে, বিবেচনার সহিত উহার চিকিৎসা করা কীর্ত্তব্য ; যেহেতু উহাতে জ্বরাদি উপসর্গ সময়ে প্রবল হইতে পারে। এই অবস্থায় রোগীকে পিত্তকাসাস্তুকরস ও তালীশান্তচুর্ণ বা সমশর্করাচুর্ণ প্রভৃতি ঔষধ এবং অবস্থাবিশেষে চন্দ্রামৃতলৌহ ও বৃহৎ রসেন্দ্রগুড়িক প্রভৃতি সেবন করিতে দিবে। ক্ষতজ ও ক্ষয়কাস চিকিৎসাকালে ঐ সকল রোগে জ্বরাদি উপদ্রব সমূহের উপর দৃষ্টি প্রদান করা নিতান্ত কর্ত্তব্য। ক্ষতিজাকাসে চন্দ্রামৃতলৌহ, শর্করাদ্যলৌহ ও বাসাবলেহ প্রভৃতি ঔষধ এবং ক্ষয়জাকাসে, কাসলক্ষ্মীবিলাস, নিত্যোদিয়ারস, বসন্তুতিলক, সার্বভৌম রস বা কাঞ্চনাত্র প্রভৃতি ঔষধ প্রদান করিবে এবং জ্বর প্রবল থাকিলে তজ্জন্য মহারাজবাটী, বৃহৎ চুড়ামণি বা জ্বরমাতঙ্গকেশরী প্রভৃতি প্রয়োগ করিবে। ক্ষয়কাসরোগে রোগীর শরীরের পুষ্টিবিধানার্থ মকরধ্বজবটী এবং জর নিবৃত্ত হইলে, চ্যবনপ্রাশ ব্যবস্থা করিবে । কাসরোগে প্লীহা বা যকৃৎ বৃদ্ধি হইলে, তজ্জন্য প্লীহা ও যকৃৎ নিবারক ঔষধসকল প্রদান করিবে, কিন্তু ঐসকল ঔষধ তীব্রবিরোচক না হয়, তদ্বিষয়ে বিশেষ সাবধান হওয়| কর্ত্তব্য। কাসরোগে শোথ ও উদরাময় প্রভৃতি উপদ্রব দৃষ্ট হইলে, ঐ রোগ প্রায়শঃ প্রাণনাশক হয়, তখন সাধারণ” চিকিৎসাদ্বারা উপকার লাভ। অতীব কঠিন হইয়া থাকে। ঐ অবস্থায় শোথ চিকিৎসার নিয়মানুসারে চিকিৎসা করিবে অর্থাৎ লবণ ও জল বন্ধ করিয়া স্বর্ণপৰ্পটী বা বিজয়পৰ্পটী প্রভৃতি ঔষধ সেবন করাইবে । কাসরোগে সাধারণতঃ উপদ্রবসমূহ নষ্ট হইলে এবং রোগীর অগ্নিবলু @द থাকিলে, শারীরিক বলরক্ষার্থ কৃশব্যক্তিকে प्रभशभूलश्ड या प्रबंभूलষটপলকত্বত প্রভৃতি সেবন করিতে দিবে, - এই সকল ঘূত ক্ষয়জন্য কাসেই